নারীর একাকিত্ব বাড়ায় উচ্চ রক্তচাপ

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২০, ১৩:৫৬ | প্রকাশিত : ০১ নভেম্বর ২০২০, ১৩:০৪

আমরা সবসময় ব্যায়াম, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ওষুধপত্র এগুলো নিয়ে কথা বলি কিন্তু সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন থাকার বিষয়টি আমাদের ভাবনাতেও আসে না। অথচ এই বিচ্ছিন্ন থাকাটা ওই সব বিষয়ের চেয়ে বেশি ভয়ানক। একাকিত্ব হলো মানুষের আবেগীয় একটি পর্যায় এবং এটিকেই আগে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দীর্ঘদিন একা থাকা শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। পুরুষ ও মহিলা উভয় ক্ষেত্রে এই প্রভাব নাকি আবার আলাদা।

সম্প্রতি এমনই তথ্য তুলে ধরেছে এক সমীক্ষা। সমীক্ষা বলছে, একাকিত্ব মহিলাদের উচ্চ রক্তচাপে ভোগার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। হাইপারটেনশনের কারণও হতে পারে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক এই সমীক্ষা চালিয়েছেন। তাদের গবেষণা বলছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মধ্যবয়স্কা ও প্রবীণরা প্রতিটি সামাজিক অনুষ্ঠান বা কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করেন না। সামাজিক কার্যকলাপগুলোতে তাদের সেভাবে কোনো যোগদান থাকে না। আর এই বিচ্ছিন্নতা হাইপারটেনশনের জন্ম দেয়। যার ফলে হৃদরোগ হতে পারে। এমনকি স্ট্রোক পর্যন্তও হতে পারে। গবেষকরা ৪৫-৮৫ বছর বয়সের মধ্যে প্রায় ২৮,২৩৮ জন মহিলার সোশ্যাল বন্ড নিয়ে দীর্ঘ সমীক্ষা করেন। দেখা গিয়েছে যে যারা সিঙ্গেল রয়েছেন বা একটু বয়স্ক, তাদের ক্ষেত্রে এই একা থাকার পরিমাণটা বেশি। এরা সামাজিকভাবে সে রকম মেলামেশা করেন না।

পার্টি বা অনুষ্ঠান থেকেও অনেক দূরে থাকেন। এর জেরে হাইপারটেনশন বা এই জাতীয় রোগে বেশি করে ভুগতে শুরু করেন। তবে এই বিধবা, একা থাকা বা সিঙ্গেল মেয়েদের ক্ষেত্রে শুধু হাইপারটেনশন নয়, সিস্টোলিক ব্লাড প্রেসারের পরিমাণও ধীরে ধীরে বেড়ে যায়। অন্যদিকে, বিবাহিত মহিলাদের ব্লাড প্রেসার তুলনামূলকভাবে অনেকটা কম বলেই সমীক্ষার দাবি।

পুরুষদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি আবার সম্পূর্ণ বিপরীত। দেখা গিয়েছে, যে পুরুষদের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক অনেক বেশি, তাদের হাই ব্লাড প্রেসার রয়েছে। অন্যদিকে যে পুরুষদের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক কম এবং যারা একা থাকতে পছন্দ করেন, তাদের ব্লাড প্রেসার কম।

গবেষকদের পরামর্শ- নিজেদের শরীর ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে যথাযথ সামাজিক মেলামেশাটা প্রয়োজন। তবে শুধুমাত্র সামাজিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করলে হবে না। নিয়মিত শরীরচর্চা, যোগ ব্যায়াম, মেডিটেশন, সুষম ডায়েটও অত্যন্ত জরুরি। যদি কেউ যথাযথ খাবার খান, নিয়মিত শরীরচর্চা করেন এবং আত্মীয় বা আশপাশের বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটান, তা হলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে উচ্চ রক্তচাপ। হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের সম্ভাবনাও কমানো যাবে। বন্ধু ও পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করুন। তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করুন। যদি কখনো সেটা অস্বস্তিকরও হয় তারপরও চেষ্টা করুন যোগাযোগ বজায় রাখতে।

(ঢাকাটাইমস/১ নভেম্বর/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :