করোনায়ও চলছে কোচিং বাণিজ্য

আমিনুল হক সাদী, কিশোরগঞ্জ
  প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর ২০২০, ১৪:২৪
অ- অ+

করোনা মহামারির কারণে দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অথচ কিশোরগঞ্জে এই নির্দেশ অমান্য করে চলছে কিছু প্রাইভেট-কোচিং বাণিজ্য। কয়েকজন শিক্ষক তাদের বাসা অথবা ভাড়া করা কক্ষে ব্যাচ করে একসঙ্গে ৫০ থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থীকে গাদাগাদি করে বসিয়ে এ কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

অভিযোগ আাছে, স্থানীয়রা এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেও ওই শিক্ষকরা তা কানে তুলছেন না। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা, পৌরশহরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অনেকটা প্রকাশ্যেই এ প্রাইভেট বাণিজ্য চলছে। অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের তাদের বাসায় প্রবেশ করিয়ে প্রধান দরজা বন্ধ করে পড়াচ্ছেন। নানা কৌশলে প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে নির্ভয়ে প্রাইভেট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন সরকারি ও নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও প্রাইভেট বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। প্রাইভেট ও কোচিং নিষিদ্ধ করার পর বেশ কিছুদিন তারা পড়ানো বন্ধ রেখেছিলেন। কিন্তু তারা আবারও আগের মতোই প্রায় প্রকাশ্যেই প্রাইভেট বাণিজ্য শুরু করেছেন। করোনার মধ্যে কোচিং সেন্টার খোলা রাখায় ইতোমধ্যে চারটি কোচিং সেন্টারকে জরিমানাসহ সিলগালা করা হয়েছে এবং সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কোচিং বাণিজ্য কমিটি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য ও পৌর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী বলেন, ‘কোচিং বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শুধু তাই নয়, করোনার কারণেও রয়েছে বিশেষ কিছু নিষেধাজ্ঞা। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু শিক্ষকরা শপিংমল চালু করেছে। যে মলে শিক্ষাকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পণ্যবিক্রেতা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও সরকার একটি শক্ত ভূমিকা নেবে।’

(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/পিএল)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সুনামগঞ্জে পিকআপের ধাক্কায় শিশু নিহত
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি ২১ মে শুরু
ঈদুল আজহায় ১০ দিন ছুটির সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা পরিষদের
আমি ওয়েস্টার্ন পোশাক পরতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি: মিম
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা