মৃত্যুর মিছিলে আরও ২১৮ জন, শনাক্ত ৯৩৬৯

অনলাইন ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ৩১ জুলাই ২০২১, ১৭:৪২

গত এক দিনে মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে ২১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২০ হাজার ৬৮৫ জনে।

এছাড়া গত কয়েক দিনের তুলনায় কম নমুনা পরীক্ষা উল্লেখিত সময়ে শনাক্ত হয়েছেন কম। এ সময়ে শনাক্ত হন ৯ হাজার ৩৬৯ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৪ জন।

শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজার ৯৮০ জনের নমুন পরীক্ষা করা হয়। যাতে শনাক্ত হন ৯ হাজার ৩৬৯ জন। শনাক্তের হার ৩০.২৪ শতাংশ। এর আগে শুক্রবার (তার আগের ২৪ ঘণ্টায়) ৪৫ হাজার ৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৩ হাজার ৮৬২ জন শনাক্ত হন, যাতে শনাক্তের হার ছিল ৩০.৭৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট গড় হার ১৬.১৪ শতাংশ। গতকাল ছিল ১৬.০৮ শতাংশ।

এদিকে গত এক দিনে করোনায় মারা গেছেন ১২৮ জন। গতকাল ২১২ জন, এর আগে মঙ্গলবার ২৩৭ জন, বুধবার ২৩৭, মঙ্গলবার ২৫৮, সোমবার ২৪৭, রবিবার ২২৮, শনিবার ১৯৫ ও শুক্রবার ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়। গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এদিন মৃত্যু হয় ২০১ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ১৩৪জন ও নারী ৮৪ জন। নতুন মৃতদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ১২০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৩৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৭ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৬ জন ও শূন্য থেকে ১০ বছয় বয়সী এক শিশু।

মৃত ২১২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৬৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৫ জন, রাজশাহী বিভাগের ২২ জন, খুলনা বিভাগের ২৭ জন, বরিশাল বিভাগের ১০ জন, সিলেট বিভাগের ৯ জন, রংপুর বিভাগের ১৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ১২ জন।

গত এক দিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ১৭ জন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন ১০ লাখ ৭৮ হাজার ২১২ জন।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে দৈনিক শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের উপরে আছে। মোট গড় হার ১৪ শতাংশের উপরে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা যায়।

বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় ২৩ জুলাই থেকে আবার ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন চলছে।

(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

উপজেলা নির্বাচন: তিন দিন মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

নগর পরিকল্পনায় নারী পরিকল্পনাবিদদের এগিয়ে আসতে হবে: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে: স্পিকার

‘ভোগ্যপণ্যের সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে না’

গাজায় যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

সুন্দরবনের আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে, তবে ফের জ্বলে উঠতে পারে

আগামী বছরগুলোতেও এমন গরম আসতে পারে, প্রস্তুত থাকার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

আরও তিনটি মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় পরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান ইউজিসির

তাপজনিত ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্য নীতিমালা প্রকাশ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :