ইউনিয়ন পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেওয়া যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত: খাদ্যমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ আগস্ট থেকে দেশের প্রত্যেক ইউনিয়নে ভ্যাকসিন দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা যুগান্তকারী। দেশের মানুষকে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখতে এই সিদ্ধান্ত সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার।

রবিবার নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে 'উপজেলার ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন ও করোনার উর্ধ্বগতি রোধকল্পে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে করণীয়' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ঘাতকের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সবার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, উপজেলার প্রতি ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক কমিটি করা হয়েছে। জীবন বাজি রেখে স্বেচ্ছাসেবক টিম করোনা মোকাবিলায় কাজ করছে। স্বাস্থ্য বিভাগের ভ্যাকসিন কার্যক্রমকে শতভাগ সফল বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদের এসব স্বেচ্ছাসেবককে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় এনে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য সফল করতে হবে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার আগ পর্যন্ত মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সবচেয়ে জরুরি। যারা মাস্ক পরতে চায় না, তাদের মাস্ক পরানো এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্বুদ্ধ করা চ্যালেঞ্জিং হলেও সবার প্রচেষ্টায় এটা বাস্তবায়ন করতে হবে।

ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারীয়া পেরেরা এর সভাপতিত্বে উপেজলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আইউব হোসাইন মন্ডল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. নাদিরা বেগম,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এবং সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব বক্তৃতা করেন।

মতবিনিময় সভায় উপজেলার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীগণ এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের সেচ্ছাসেবকগণ অংশ নেন। পরে তিনি করোনা মোকাবিলায় সম্মুখসারির যোদ্ধাদের মাঝে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন।

এর আগে খাদ্যমন্ত্রী নিয়ামতপুর এলএসডি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় খাদ্যমন্ত্রণালয় সরকারি ক্রয়ের মাধ্যমে মজুদ বাড়াচ্ছে। সরকারি গুদামে এখন রেকর্ড পরিমান খাদ্য মজুদ রয়েছে। এছাড়া বাজারে সরবরাহ বাড়াতে বেসরকারিভাবেও আমদানির পদক্ষেপ নিচ্ছে। এলএসডি পরিদর্শনকালে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রাজশাহী জি এম ফারুক হোসেন পাটওয়ারী উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০১আগস্ট/এসকেএস/জেবি)