ঘাটাইলে বাসার ভেতরে শাশুড়ি-পুত্রবধূসহ তিনজনের লাশ

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার একটি বাড়ি থেকে শাশুড়ি ও পুত্রবধূসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে উপজেলার দিগর ইউনিয়নের কাশতলা গ্রামের খামারপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়। আহত এক শিশুকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, কাশতলা গ্রামের মৃত হয়রত আলীর স্ত্রী জমেলা (৬৫), তার ছেলে জয়েন উদ্দিনের স্ত্রী সুমি বেগম (২৮) এবং কালিহাতীর সাতুটিয়া গ্রামের সোরহাব আলীর ছেলে শাহজালাল (৩০)। তাদের শরীরের নানা স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন নিহত সুমি বেগমের মেয়ে শাফি (৪)। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দিগর ইউনিয়নের হামিদপুর এলাকার খামারপাড়ার ওই বাড়িতে আজ সকালে তিনটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুই নারী ও এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় শিশু শাফিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার রাতে বা শনিবার ভোরের কোনো এক সময় এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেশীদের ধারণা।
দিগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মামুন বলেন, হামিদপুরের খামারপাড়ায় শাশুড়ি, পুত্রবধূ ও এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় শিশু শাফিকে (৫) আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তাদের হত্যা করা হয়েছে নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে তা জানা যায়নি। তবে স্থানীয় অনেকের ধারণা পরকীয়া সংক্রান্ত কোনো ঘটনা থেকে তিনজনকে হত্যা করা হতে পারে। বসতঘরের দেয়ালে রক্ত দিয়ে লেখা কিছু কথা দেখা গেছে। সেখানে লেখা রয়েছে ‘এমনটা হত না যদি আমার সুমী আমার কাছে থাকতো, এই সবকিছুর জন্য সুমীর বাবা দায়ী।’। এমন লেখায় স্থানীয়রা ধারণা করছেন পরকীয়া সংক্রান্ত কোনো কারণে তাদের হত্যা করা হতে পারে।
তিনটি মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, তাদের হত্যা করা হয়েছে, নাকি অন্য কোনো কারণ আছে সেটা জানা যায়নি। তদন্ত পরবর্তীতে মূল ঘটনা জানা যাবে।
ঢাকাটাইমস/৩০অক্টোবর/আরকে/এমআর

মন্তব্য করুন