পর্যটন সম্ভাবনাময় পদ্মা সেতু

দেশের সবচেয়ে বড় সুবিশাল সেতুটির নাম পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতুটি হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থার বিরাট উন্নতি হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের। পদ্মা সেতুর কারণে শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতেই থেমে থাকেনি, হয়েছে অর্থনৈতিক দিক দিয়েও উন্নতি। বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু দেখতে আগ্রহ ঘিরে ছুটে আসেন দেশ ও দেশের বাইরের হাজার হাজার পর্যটক।
পর্যটকরা পদ্মা সেতুর মনোরম দৃষ্টিনন্দন চিত্র দেখতে ভিড় জমান পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তেই। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পর্যটকরা পদ্মা সেতু দেখতে গিয়ে থামেন পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার কাছে।
পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তেই সাজানো হয়েছে প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর দৃশ্যে। সেখানে চোখ গিয়ে আটকে যায় সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে। সেতুটির নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে টোল প্লাজা দিয়ে সেতুর মাঝখানে যেতে চাইলে দেওয়া হয় বাধা।
দূর থেকে আসা পর্যটকরা জানান, দেশের সবচেয়ে বড় সুবিশাল পদ্মা সেতুটি দেখতেই আমরা ছুটে এসেছি। দেখে মনে হচ্ছে যেন এখনো স্বপ্ন দেখছি। পদ্মা সেতুটির জন্য মনে হচ্ছে বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশে রূপ নিয়েছে।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন। এর ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিই হয়নি, সঙ্গে পর্যটন কেন্দ্রতে ও রূপান্তরিত হয়েছে।
নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মুন্সী বলেন, পদ্মা সেতু পেয়ে সবচেয়ে বেশি আনন্দিত আমরা পদ্মার তীরের মানুষ। বিশেষ করে, পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি অর্থনীতির চাকাও ঘুরেছে।
(ঢাকাটাইমস/২০ডিসেম্বর/কেএম/এসএ)

মন্তব্য করুন