‘পুলিশ প্রহরা’র মধ্যেই কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের অবমাননা!

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:৫৩| আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২১:৩৬
অ- অ+

কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের সময় একবার ভাঙচুর করেছিল দুবৃত্তরা। এ ঘটনায় সেখানে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছিল। এর মধ্যেই আজ শনিবার বন্ধবন্ধুর ভাস্কর্যের ভাবগাম্ভীর্যকে অবমাননা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বেলা তিনটার দিকে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নড়েচড়ে বসে জেলার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী কাবিল হোসেন বলেন, দুপুরে এক ব্যক্তি ধূসর রঙের ফুলপ্যান্ট, কোমড়ে জড়ানো গাঢ় লাল রঙের সোয়েটার গায়ে নেভি ব্লু রঙের গেঞ্জি এবং পায়ে কালো রঙের জুতা পরা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের মাথার ওপরে উঠে নানা অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। অনেকেই কৌতূহল ভরে লোকটাকে পাগল মনে করে খেলা দেখছিল। কেউ কেউ মোবাইল দিয়ে ছবিও তুলছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আশপাশ থেকে লোক জড়ো হয়। এ সময় একজন ভদ্রলোক ওই ব্যক্তিকে ডেকে নেমে আসতে বলেন।

এ বিষয়ে এই ভাস্কর্য নির্মাণ ও স্থাপন কর্তৃপক্ষ কুষ্টিয়া পৌরসভা নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলামের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি, দুপুরে কোন একটা পাগল নাকি বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের মাথায় উঠেছে। আমি সেখানে আমাদের লোক পাঠিয়েছি দেখতে। কোন ক্ষতি হয়েছে কিনা। তাছাড়া বিষয়টি দেখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অবগত করেছি। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের পবিত্রতা বা নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। যে ব্যক্তি ম্যুরালের মাথায় উঠে এই অবমাননা করেছে সে আসলে পাগল কিনা- সেটা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করবে কুষ্টিয়া পৌরসভা।

গত বছর ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে নির্মাণাধীন এই ম্যুরাল ভাঙচুরের প্রতিবাদে সারাদেশে সাড়া পড়েছিল। তারপর থেকে সর্বসম্মতিক্রমে এই ম্যুরালের নিরাপত্তা রক্ষায় সেখানে পুলিশ প্রহরা বসানো হয় বলেও জানান ওই নির্বাহী প্রকৌশলী।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সাব্বিরুল আলম জানান, ‘ঘটনাটি শুনেই আমি দেখতে এসেছি প্রকৃত ঘটনা কী? আশপাশের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। ঘটনার সময় সেখানে পুলিশ প্রহরা ছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানালেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

গতবছর শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচ রাস্তার মোড়ে কুষ্টিয়া পৌরসভা স্থাপিত শাপলা চত্বরকে সরিয়ে সেখানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ শুরু করে। ওই বছর ৪ ডিসেম্বর রাতে কিছু দুর্বৃত্ত বঙ্গবন্ধুর মুখমণ্ডল ও হাতের অংশ ভেঙে ফেলে। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে দেশব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও মানববন্ধন করে। পরে ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজন মাদ্রাসাশিক্ষার্থী ও শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সৌপর্দ করে পুলিশ।

(ঢাকাটাইমস/৫ফেব্রুয়ারি/এআর/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
২০৩০ সালের মধ্যে ১৫০ পৌরসভায় শেষ হবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ: অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী
উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মাথায় বোতল মারল কে?
কিছু ঘটলেই যমুনায় যাওয়ার প্রবণতা সহ্য করা হবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ 
সিলেট থেকে ৪১৮ যাত্রী নিয়ে মদিনায় গেল প্রথম হজ ফ্লাইট
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা