সুরা আসক্তি কার থেকে পেয়েছে মানুষ? বানর থেকে?

বানরেরা শুধু পাকা নয়, পেকে গেঁজিয়ে যাওয়া ফল বেশি পছন্দ করে। একটি ফল পেকে যে অবস্থায় পৌঁছলে বানরের রসনাতৃপ্তি ঘটে তাতে প্রায় ২ শতাংশ অ্যালকোহল থাকে।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার স্টেট ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানীদের পরিচালিত একটি গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে। মানুষের মধ্যে যে সুরাপ্রেম, সেটা বানর থেকেই এসেছে- এমন ইঙ্গিতও মিলেছে সেই গবেষণায়।
ক্যালিফোর্নিয়ার স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রবার্ট ডুডলি মানুষের সুরা আসক্তি নিয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর গবেষণা করেছেন। ২০১৪ সালে তিনি ‘দ্য ড্রঙ্কেন মাঙ্কি: হোয়াই উই ড্রিংক অ্যান্ড অ্যাবিউজ অ্যালকোহল’ নামে একটি বইও লেখেন তিনি। আর এ বার ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকদের ‘ড্রঙ্কেন মাঙ্কি’ তত্ত্ব নির্ভর একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে রয়্যাল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স জার্নালে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, ফল পাকলেই বানর তা খেতে চায় না। বরং সে অপেক্ষা করে কখন সেই ফলে অ্যালকোহল তৈরি হবে।
গবেষকরা পানামায় ব্ল্যাক হেডেড স্পাইডার প্রজাতির বানরের খাওয়া ফল ও প্রস্রাবের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেন। তাতেও অ্যালকোহলের উপস্থিতি মিলেছে। গবেষকদের দাবি, ফল গেঁজেই ওই অ্যালকোহল তৈরি হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির নৃতত্ত্ব বিভাগের পক্ষে প্রাইম্যাটোলজিস্ট ক্রিস্টিনা ক্যাম্পবেল দাবি করেছেন, মানুষের মতো বানরেরও যে সুরার প্রতি আসক্তি রয়েছে তা তারাই প্রথম জানতে পারলেন। তিনি এ-ও জানান, এ বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন থাকলেও এখন এটুকু নিশ্চিত হয়েই বলা যায়, বানরেরা সুরাসক্ত। এখন পরবর্তী গবেষণায় এই বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে যে আদৌ বানরের থেকেই মানুষের মধ্যে সুরাপ্রেম এসেছে কিনা। একই সঙ্গে সুরাযুক্ত ফল খাওয়ার পরে বানরের মধ্যে কী কী পরিবর্তন আসে সেটাও দেখা হবে।
(ঢাকাটাইমস/০৬এপ্রিল/এফএ)

মন্তব্য করুন