হরিণাকুণ্ডুতে আলমসাধু নিয়ে পালানোর সময় গণপিটুনিতে চোর নিহত

আলমসাধু চুরি করে পালোনোর পথে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন আসান (৩৫) নামের এক যুবক। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিতলে রতনপুর এলাকার আত্তাপ হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে হরিনাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের কাপাশাটিয়া গ্রামে লিটন আলীর আলমসাধু চুরি করতে যেয়ে এই নির্মম নৃসংশতার শিকার হন।

পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে লিটন মোল্লার বাড়িতে ঢুকে তার উঠানে রাখা ১ লাখ টাকা মুল্যের ১টি আলমসাধু গাড়ি চুরি করে চোর পালিয়ে যায়। ওই সময় লিটনের মা গাড়ি চুরির বিষয়টি বুঝতে পেরে ছেলে লিটনকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে। গাড়ির মালিক লিটন লোকজন নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে চোরের পিছু পিছু ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার শ্রীনগর এলাকায় যেয়ে বেপরোয়া গতির গাড়িটি উল্টিয়ে তার নিচে চাপা পড়ে গাড়ি চালক চোর আসান। চোর সিন্ডিকেটের অপর দুই সদস্য দৌড়ে পালিয়ে যায়।

লিটন মোল্লা অভিযোগ করেন, স্থানীয় জনতা গাড়ির নিচ থেকে চোর আসানকে উদ্ধার করে পেটাতে থাকে। চোর আসানকে চুরি যাওয়া আলমসাধুসহ আটক করে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া হাজী আরশাদ আলী কলেজ মাঠে নিয়ে আসা হয়। ওই সময় উত্তেজিত জনগণ চোরকে তার সাঙ্গপাঙ্গের নাম প্রকাশের জন্য আবারও গণপিটুনি দেয়। পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গণপিটুনিতে যুবক নিহত হওয়ার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত যুবকের পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান।

(ঢাকাটাইমস/৭জুন/এআর)