হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন: মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা

পাবেল খান চৌধুরী, হবিগঞ্জ
  প্রকাশিত : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৫৩| আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:০৩
অ- অ+

জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে হবিগঞ্জে প্রার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ। অধিক চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও প্রকাশ্যে মাঠে আছেন মাত্র তিনজন। এছাড়া ১৭ অক্টোবর নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সমর্থন আদায়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে মতবিনিময় সভা করে নিজেদের পক্ষে সমর্থন চাচ্ছেন।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার ৯টি উপজেলাকে ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। ৯টি উপজেলা পরিষদের হলরুমকে কেন্দ্র হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এবার জেলার ৭৮টি ইউনিয়ন, ৫টি পৌরসভা ও ৯টি উপজেলা পরিষদ মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৫৭৪ জন ভোটার নির্ধারণ করা হয়েছে। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হবে।

এদিকে ১৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ওই দিন প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র অনলাইন ও সরাসরি জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে দাখিল করতে পারবেন। ১৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। ২৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার। ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে।

এবার হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান পদে ৭ প্রার্থী মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে ওই প্রার্থীরা মনোনয়ন লাভের জন্য দলের হাই কমান্ডের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন।

তাদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও সাবেক চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর বড় ভাই অ্যাডভোকেট ফজলে আলী, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর পুত্র নিজামুল হক রানা, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান নূরুল আমিন ওসমান, অ্যাডভোকেট শিবলী খায়ের ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মোহাম্মদ শাহীন।

এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের প্রশাসক ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী জানান, প্রায় সাড়ে ১০ বছর ধরে জেলা পরিষদের প্রশাসক ও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছি। দায়িত্ব পালনকালে জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আশা করি, জননেত্রী শেখ হাসিনা এবারও আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেবেন এবং দলীয় মনোনয়ন দিলে সকলের সহযোগিতা নিয়ে আমিই বিজয়ী হব। এ ব্যাপারে মনোনয়নপ্রত্যাশী শহীদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাইব। জননেত্রী শেখ হাসিনা দলীয় মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচন করব। অনথ্যায় নির্বাচন করব না।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী জানান, ছাত্রলীগ, যুবলীগ করার পর বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আমাকে আওয়ামী লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করেছেন। তার সৈনিক হিসেবে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমি দলীয় মনোনয়ন চাইবো। দল থেকে আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। অন্যথায় দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেব। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই কাজ করব।

জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান নূরুল আমিন ওসমান জানান, বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচিত হই। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর আমার ওয়ার্ডে বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরের উন্নয়নে যেমন বরাদ্দ দিয়েছি, তেমনি বিভিন্ন রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেছি। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবো। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করব। মনোনয়ন না পেলে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সদস্য পদে নির্বাচন করব।

(ঢাকাটাইমস/০৫সেপ্টেম্বর/এলএ/এসএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
চিলড্রেন্স পার্টি কথাবার্তা শুনে আমাদের বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই: মির্জা আব্বাস 
খুলনায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষ, রেল যোগাযোগ বন্ধ
দেশের কোথাও ‘চরমোনাইকে’ মাহফিল করতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি ওলামা দলের
রাঙ্গুনিয়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা