প্রেমের বসবাস কোথায়? মস্তিষ্কের ভেতর নাকি হৃদয়ে?

মস্তিষ্কের প্রেমই বেশি কাবু করে যে প্রেমে মস্তিষ্ককে সম্পৃক্ত করে তার ভেতর একরোখা একটা টান জন্ম নেয়। যার সঙ্গে চেহারার চেয়ে গভীরতার পরিমাপ বেশি। এটা কখনো গন্তব্যের জার্নি হবে এমন নয়। এর একটা দিক হলো সম্পর্ক। এই সম্পর্ক নিবিড় হলে তার সাথে মায়া জড়িয়ে যায়। সেখানে দুজন যখন কথা বলে, কোনো জড়তা থাকে না। সেটা থাকে না বলেই প্রেম নতজানু হয়ে ওঠে।
বিজ্ঞান বলছে,ব্রেইন থেকে উৎসারিত প্রেম বাহ্যিক আর দশটার মতো নয়। মানুষটা না থাকতে পারে, কিন্তু অনুভূতি ছেড়ে যাবে না কখনোই।
তাহলে কী হৃদয়ে প্রেম সঞ্চারিত হয় না? এমন প্রশ্নে তারা বলেন, মস্তিষ্ক থেকে হৃদপিণ্ডে যে পরিমাণ সিগনাল যায়, সেরকম সিগনাল হৃদপিণ্ড থেকেও মস্তিষ্কে যায়।
শুধু তাই না, হৃদপিণ্ড থেকে মস্তিষ্কে যে সিগনাল যায়, সেগুলো বোধসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় যেমন মনোযোগ, উপলব্ধি,স্মৃতি এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। গবেষণা বলছে, হৃদপিণ্ড intution তৈরির ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করে।
এখন প্রশ্ন, প্রেম কী করে মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে এবং আবেগের সূত্রপাত ঘটে? এটা বের করা যায় একটি পরীক্ষার মাধ্যমে। যেসব নারী-পুরুষ দাবি করেন তারা প্রেমে পড়েছেন, তাদের মস্তিষ্ক স্ক্যান করা হয়। এর পাশাপাশি যেসব মানুষ কখনোই প্রেমে পড়েননি বা অতীত প্রেম ভুলে গেছেন তাদের মস্তিষ্কও স্ক্যান করা হয়।
গবেষকরা বলছেন, এ থেকে তারা এই প্রথম দেখতে পান ভালোবাসা মস্তিষ্কে কী কী পরিবর্তন নিয়ে আসে। এফএমআরআই মেশিন ব্যবহার করে এই স্ক্যান করা হয়, যা কিনা রক্তপ্রবাহের পরিবর্তন থেকে ব্রেইন অ্যাক্টিভিটি পরিমাপ করতে পারে।
দেখা যায়, প্রেম মস্তিষ্কে প্রায় এক ডজন এলাকায় সক্রিয়তা সৃষ্টি করে। আর কডেট নিউক্লিয়াস নামের একটি জায়গা সক্রিয় হয় প্রেমের সমাপ্তি হলে। এই গবেষণায় যারা কাউকে ভালোবাসেন তাদেরনকে সেই প্রেমিক বা প্রেমিকার ছবি দেখানো হয় এবং সে সময়ে তাদের মস্তিষ্ক স্ক্যান করা হয়।
এই গবেষণায় অংশ নেওয়া ১০০ নারী-পুরুষের একাংশ তীব্রভাবে কাউকে ভালোবাসতেন, কেউ কখনো প্রেমে পড়েননি এবং কেউ কেউ সম্প্রতি সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন। এই স্ক্যানের সময় তাদের চিন্তাশূন্য থাকতে বলা হয়। তাই চিন্তার জন্ম যেখানে, প্রেমের বসবাসও সেখানে।
(ঢাকাটাইমস/৫সেপ্টেম্বর/এএইচ)

মন্তব্য করুন