মহাকাশে ছয় মাস কাটিয়ে নিরাপদে দেশে ফিরেছেন চীনের ৩ মহাকাশচারী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:৫৭

চীনের মহাকাশযান শেনঝু-১৪ তিনজন মহাকাশচারীকে নিয়ে ছয় মাস মহাকাশে অবস্থানের পর দেশে ফিরে এসেছে। রবিবার মিশন সম্পন্ন করে নিরাপদে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এই তিন মহাকাশচারী।

দেশটির সরকারি মিডিয়া জানিয়েছে, উত্তর অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ডংফেং অবতরণ স্থানে নিরাপদে তারা পৌঁছেছে।

ক্যাপসুল অবতরণ করার কয়েক মিনিট পরে গ্রাউন্ডেড ক্রুরা জাতীয়ভাবে টেলিভিশনে প্রচারিত অপারেশনে ক্যাপসুল থেকে একের পর এক তিন মহাকাশচারী চেন ডং, লিউ ইয়াং এবং কাই জুজেকে বের করে আনে।

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়ার আগে তিন নভোচারী যাদের শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল তারা সংক্ষিপ্তভাবে রাষ্ট্রয়াত্ব টেলিভিশন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

তিন মহাকাশচারী ১৮৩ দিন ধরে মহাকাশ স্টেশন কমপ্লেক্সে বাস করেছিলেন এবং কাজ করেছিলেন। ২৯শে নভেম্বর শেনঝু-১৫ মহাকাশযানের মাধ্যমে তাদের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছিল এবং আরও তিনজন মহাকাশচারীকে নির্মাণাধীন মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হয়েছিল।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, তিনজন শেনঝু-১৪ মহাকাশচারীকে ৫ জুন মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হয়েছিল। তারা গত কয়েক মাসে একাধিক কাজ সম্পন্ন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি রেন্ডেজভাস-এন্ড-ডকিং তত্ত্বাবধান, তিনটি বহির্মুখী ক্রিয়াকলাপ সম্পাদন করা, একটি লাইভ বিজ্ঞান বক্তৃতা দেওয়া এবং বেশ কয়েকটি বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্ভর পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনা করা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যে চীন এই বছরের শেষ নাগাদ মহাকাশ স্টেশনটি সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা করেছে।

শেনঝু-১৫ মহাকাশযানটি ফেই জুনলং, দেং কিংমিং এবং ঝাং লু নামের তিনজন মহাকাশচারীকে বহন করেছিল। তাদের ছয় মাসের মিশনের সময়, শেনঝু-১৫ ক্রু তার তিন-মডিউল কনফিগারেশনে চীনের মহাকাশ স্টেশনে দীর্ঘমেয়াদী বসবাস সম্পর্কিত পরীক্ষা চালাবে বলে সিএমএসএর পরিচালকের সহকারী জি কিমিং বলেছেন।

সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীনের মহাকাশ স্টেশনের নির্মাণ পর্যায়ে এটিই হবে শেষ ফ্লাইট মিশন যেটি লং মার্চ-২এফ ক্যারিয়ার রকেট দিয়ে উৎক্ষেপণ করা হবে। স্টেশনটি একবার প্রস্তুত হয়ে গেলে চীন হবে একমাত্র দেশ যারা একটি মহাকাশ স্টেশনের মালিক হবে।

রাশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস) বিভিন্ন দেশের একটি সহযোগী প্রকল্প। চায়না স্পেস স্টেশন (সিএসএস) রাশিয়ার তৈরি আইএসএস-এর প্রতিযোগী হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে আগামী বছরগুলিতে আইএসএস অবসর নেওয়ার পরে সিএসএস-ই একমাত্র মহাকাশ স্টেশন হয়ে উঠতে পারে যা কক্ষপথে থাকবে।

(ঢাকাটাইমস/০৪ডিসেম্বর/ এসএটি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যার পর বালিচাপা দিলো ইসরায়েলি সেনারা 

গাজায় যুদ্ধাপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে আইসিসির প্রতি আহ্বান

কলকাতা বিমানবন্দরে চলল গুলি, নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়ে হুমকি পেলেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ

মস্কোতে কনসার্টে হামলা: এখনো প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ 

বাবা কোটিপতি, ২০ বছর ধরে জানতই না ছেলে!

গাজা যুদ্ধের ১৭৩তম দিন, প্রাণহানি বেড়ে সাড়ে ৩২ হাজার

মস্কোতে সন্ত্রাসী হামলা: ফের মৃত্যুদণ্ড চালুর আহ্বান রুশ আইনপ্রণেতাদের

দশ বছরে ৬৪ হাজার অভিবাসীর মৃত্যু, বেশিরভাগই সাগরে ডুবে: জাতিসংঘ

৩০ হাজার কোটি রুপি ব্যয়ে মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া দেবে ভারত

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :