বসন্তের বার্তা দিতে দিকে দিকে ফুটেছে শিমুল ফুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৫১

প্রকৃতির রিক্ততায় শীতের পর উষ্ণ পরশ দিতে প্রকৃতিতে ডানা মেলে সেজেছে ঋতুরাজ বসন্ত। আর প্রকৃতি প্রেমীদের চোখের তৃষ্ণা মেটাতে বসন্তের আগমনী বার্তা জানিয়ে সবুজের আবৃত ভেদ করে টুকটুকে লাল শিমুল ফুল ফুটেছে। বাগানটিতে এখন প্রকৃতি যেন গাইছে ফাগুনের গান। দুর থেকে দেখলে মনে হবে লাল গালিছা বিচায়ে ডাকছে প্রকৃতি প্রেমী,পর্যটক ও সৌন্দর্য পিপাষুু মানুষদেরকে এশিয়ার বৃহত্তর শিমুল বাগানে।

শিমুল বাগানটি সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের উত্তরে বারেকটিলা মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশ ও দক্ষিণে পূর্ব দিকে রূপের রানী খ্যাত যাদুকাটা নদী ঘেঁষে গড়ে উঠেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়,২০০২সালে বাদাঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত জয়নাল আবেদীন উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মানিগাঁও গ্রামে বালু আবরিত ৯৮ বিঘা অনাবাদি পতিত জমিতে সারিবদ্ধ ভাবে ৩ হাজারের অধিক শিমুল চারা রোপন করেন। সময়ের পরিক্রমায় সেটি এখন আকর্ষণীয় টুরিস্ট স্পট। বাগনটি উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের প্রয়াত সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন নিজ উদ্যোগে করেছেন বিধায় তার নাম অনুসারে জয়নাল আবেদীন শিমুল বাগান নাম রাখা হয়েছে।

বাগানটিকে গিরে জীবন জীবিকার অবলম্বন হিসাবে ঘোড়ায় তুলে বাগান গুড়িয়ে আগত পর্যটকদের আনন্দ দিচ্ছে,কিছু যুবক ফটো তুলে স্মৃতি হিসাবে ধরে রাখতে ছবি তুলি আগতদের দিয়ে বিনিময় টাকা নিচ্ছেন। আবার শিশুরা শিমুল ফুল দিয়ে মালা,ভালবাসার লাভ চিহ্ন একে তাতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে খুশি মনে টাকাও দিচ্ছে আগত পর্যটকরা। বাগানে পাশে আছে ছোট ছোট কয়েকটি দোকান যান নামমাত্র চাহিদা মেটায় আগত পর্যটক,দর্শনার্থীদের।

রক্তরাঙ্গা ফুটন্ত শিমুল ফুল গুলো দেখতে ও সারা বছরেই দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার প্রকৃতি প্রেমী ও পর্যটকগনের আগমন ঘটে। এবারও আসতে শুরু করেছে বলে জানান,স্থানীয় বাসিন্দা ও বড়দল উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম আকাশ।

তিনি আরও জানান,বসন্তের আগমনী বার্তা জানিয়ে সারি সারি শিমুল গাছে ফুল ফুটতে শুরু করেছে আর সবকটি গাছে পরিপূর্ণ ভাবে ফুল ফুটছে। ফুলের সৌরভে আর পর্যটকদের ভিড়ে মেতে উঠতে শুরু করেছে বাগানের চারপাশ।

রাজধানী ঢাকা থেকে আসা পর্যটক শরীফ উদ্দিনসহ আগত পর্যটক ও দর্শনার্থীরা জানান,বাগানের সুন্দর্য অসাধারণ। বাগান মালিক পক্ষ বাগানে প্রবেশ মূল্য ২০টাকা জন প্রতি করে তুলছেন। এদিকে সময় উপযোগী সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। এছাড়াও বাগানে পর্যাপ্ত স্যানিটেশনের ব্যবস্থা ও খাবার দোকান না থাকায় আগতরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। আগত পর্যটকসহ সবার সমস্যা সমাধানের জন্য সময় উপযোগী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানাই।

বাগান মালিকের ছেলে সাবেক চেয়ারম্যান রাকাব উদ্দিন জানান,আমরা চেষ্টা করছি বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও আগত পর্যটকদের জন্য সবোচ্ছ সহায়তা করার আর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বাগানে ফুল ফুটুক আর না ফুটুক প্রকৃতি প্রেমীরা ছুটির দিনসহ বিশেষ দিনগুলোতে বেড়াতে আসেন। তারা শিমুল বাগান, বারেকটিলা ও যাদুকাটা নদীর অপার সৌন্দর্য উপভোগ করেন।

যেভাবে যাবেন- ঢাকা থেকে সরাসারি বিভিন্ন ধরেনের বাসে সুনামগঞ্জ। সুনামগঞ্জ আব্দুল জহুর সেতু থেকে সিএনজি বা মটর সাইকেল জন প্রতি ১০০টাকায় লাউড়েরগড় বাজার। বাজার পার হয়ে যাদুকাটা নদী আর নদী পার হলেই শিমুল বাগান। আবার সুনামগঞ্জ আব্দুল জহুর সেতু পাড় হলে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি নিয়ে তাহিরপুর উপজেলা এরপর বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট বাজার হয়ে শিমুল বাগান।

(ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :