পঞ্চগড়ে কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, পুলিশ-মুসল্লি সংঘর্ষ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৩, ০৮:২৪ | প্রকাশিত : ০৩ মার্চ ২০২৩, ২০:৩৩

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া মুসলিম জামাতকে (কাদিয়ানি) নিষিদ্ধ ও তাদের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করার সময় পুলিশ ও মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩ মার্চ) জুমার নামাজের পর মুসল্লিরা মিছিল বের করলে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

পঞ্চগড় শহরের শের-ই বাংলা পার্ক সংলগ্ন মহাসড়কে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। অন্যদিক থেকে মুসল্লিরাও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। সংঘর্ষে পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) একই দাবিতে পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন মুসল্লিরা। প্রায় ৫ ঘণ্টা এই অবরোধ চলে। বিকেল ৩টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সফিকুল ইসলাম এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সমঝোতার আশ্বাস দেন। পরে মুসল্লিরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব ও বিপুল সংখ্যক বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। পরে আরও ৭ প্লাটুন বিজিবি সদস্য পাঠানো হয়।

মুসল্লি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজ শেষে বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিরা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে সমবেত হন। পরে তারা মিছিল বের করেন। শের-ই বাংলা পার্ক সংলগ্ন মহাসড়কে মিছিল থেকে ইটপাটকেল ছোড়া হলে পুলিশ বাধা দেয়। এ নিয়ে পুলিশ ও মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

মুসল্লিদের দাবি, আহমদিয়া মুসলিম জামাত তথা কাদিয়ানীরা আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে অস্বীকার করে এবং অন্য কাউকে নবী মেনে নিজেকে মুসলিম দাবি করতে পারে না। তারা গোলাম আহমদকে নবী মনে করে, তারা কাফের। ইসলামের নামে তাদের কোনো জালসা আয়োজন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মেনে নিতে পারে না। কাজেই তাদের জালসা বন্ধ ঘোষণা করতে হবে।

পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব এবং বিজিবি তৎপর রয়েছে। কোনো প্রাণহানি যেন না ঘটে সেদিকেও সোচ্চার রয়েছে প্রশাসনের সর্বমহল।

(ঢাকাটাইমস/০৩মার্চ/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :