ফেব্রুয়ারি মাসে ডিএমপিতে যারা সেরা
রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে আর্থিক পুরস্কারে পুরস্কৃত করলেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। বৃহস্পতিবার সকালে ডিএমপি সদর দপ্তরে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার।
ফেব্রুয়ারি মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির আটটি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মিরপুর বিভাগ। শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা। সহকারী পুলিশ কমিশনারদের (এসি) মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের এসি মো. আজিজুল হক । পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)-দের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল হালিম। পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস)-দের মধ্যে প্রথম হয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) মো. তোফাজ্জল হোসেন।
শ্রেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মিরপুর মডেল থানার এসআই নাজমুল হক ও চকবাজার মডেল থানার এসআই মো. মাহাবুব হোসেন। বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই মো. মাহাবুব হোসেন। মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন বিমানবন্দর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. মিকাইল মোল্লা। চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন ভাষানটেক থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) মো. খোরশেদ আলম ও ভাটারা থানার এসআই মো. রিয়াদ আহমেদ। অস্ত্র উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন দারুসসালাম থানার এসআই মো. আসাফুদ্দৌল্লাহ সরদার। ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এএসআই ইন্দাজুল ইসলাম। এএসআইদের মধ্যে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এএসআই ইন্দাজুল ইসলাম ও মতিঝিল বিভাগের এএসআই মো. হেলাল উদ্দিন।
নয়টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের এসি বার্নাড এরিক বিশ্বাস। তিনি মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেও শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন। চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ি চুরি উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের এসি মুহম্মদ মনিরুজ্জামান। অজ্ঞান বা মলম পার্টি গ্রেপ্তারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) মো. আহসান খান।
ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক-লালবাগ বিভাগ। ট্রাফিকের শ্রেষ্ঠ এসি হয়েছেন ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের উত্তরা-পূর্ব ট্রাফিক জোনের এসি খন্দকার ইফতেখার হোসেন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) হয়েছেন ট্রাফিক রমনা বিভাগের শাহবাগ-ট্রাফিক জোনের টিআই মো. সাজ্জাদ খান। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মো. তিতুমীর রহমান ও ট্রাফিক-গুলশান বিভাগের গুলশান-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মো. সাদ্দাম হোসেন।
এছাড়াও ডিএমপির নয়টি বিভাগ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রতি মাসে ঘটে যাওয়া অপরাধ বিশ্লেষণ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী কর্মপন্থা ও কর্মকৌশল সম্পর্কিত নির্দেশনার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের কর্মোদ্দীপনা বাড়াতে প্রতিমাসের কার্যক্রম পয়েন্ট আকারে যোগ করে পরবর্তী মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুরস্কৃত করে থাকেন ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপির অপরাধ বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের সঞ্চালনায় মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) এ কে এম হাফিজ আক্তার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ; যুগ্ম-পুলিশ কমিশনাররা, উপ কমিশনারা ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/এএ/কেএম)