ফেসবুকে গ্রুপ খুলে জাল টাকার কারবার, আটক ২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ১৫:৫৫ | প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ১৫:৩৫

ফেসবুকে গ্রুপ খুলে জাল টাকার কারবার করায় রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে দুজনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

আটককৃতরা হলেন- আল আমিন এবং কাশেম আলি। এ সময় তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, প্রিন্টার ও সফটওয়্যারসহ অনেক জাল টাকা উদ্ধার করা হয়।

সোমবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে খিলগাঁওয়ের শান্তিনগর এলাকায় থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার মিডিয়া সেন্টার থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ডিএমপির একটি সূত্র জানায়, সোমবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে খিলগাঁওয়ের শান্তিনগ এলাকায় থেকে আল আমিন ও কাশেম আলিকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, প্রিন্টার ও সফটওয়্যারসহ অনেক জাল টাকা উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতদের বরাত দিয়ে ডিএমপির ওই সূত্রটি জানায়, জাল টাকার তৈরিকারক আল আমিন। আর এ টাকা কেনার জন্য কাশেম আলি গাজীপুর থেকে আল আমিনের কাছে আসে।

তাদের যোগাযোগ হয় ফেসবুকের মাধ্যমে। তাদের দেয়া তথ্য-উপাত্ত, গোপন তদন্তে জানা যায়, জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ফেসবুকে ফেইক আইডির মাধ্যমে একটি গ্রুপ খোলা হয়। অর্থাৎ, আইডি খোলার সময়ে স্বেচ্ছাকৃতভাবে ভুয়া মোবাইল ফোন নম্বর, ভুয়া ইমেইল ব্যবহার করা হয় যেন এ আইডি ডিটেক্ট হলেও তাদেরকে কেউ চিহ্নিত করতে না পারে।

গ্রুপ খোলা হয়ে গেলে ক্রেতার খুঁজে প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে থাকে। সেখানে এসে যোগ দেয় এ ধরণের অসৎ ব্যবসায় ইচ্ছুক কিছু যুবক। গ্রুপের কমেন্টে প্রাথমিক কথাবার্তা হলে আরো যোগাযোগ বাড়াতে তারা মেসেঞ্চজার, হোয়াটঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মতো যোগাযোগ অ্যাপসগুলো সহায়তা নেয়। এরপর শুরু হয় তাদের দরদাম ও কেনাবেচা।

জাল টাকাকে তারা ডাকে বিভিন্ন নামে যেমন- প্রোডাক্ট, মাল বা প্যাকেট নামে। প্রোডাক্ট ভালো হলে এ মার্কেটে তৈরি কারকের বিশ্বস্ততা বাড়তে থাকে। এক সময় পুরোনো কাস্টমাররাই প্রোডাক্টের নতুন কাস্টমার নিয়ে আসে।

ডিএমপির ওই সূত্রটির ভাষ্যমতে, তদন্তে আরো দেখা যায়, তাদের এ সাপ্লাই চেইন কয়েকটি ধাপে চলে। তৈরি কারকের কাছ থেকে পাইকারি ও পরে খুচরা বিক্রেতার কাছে পৌঁছায়। এতে তৈরি কারক অধিক পরিচিতি হবার ঝুঁকি থেকে নিজেকে কিছুটা রক্ষা করতে পারে।

প্রথম দিকে পাইকারি ক্রেতারা সরাসরি প্রোডাক্ট নিলেও বিশ্বস্ততা বাড়লে বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের সহায়তায় বিলি করতে থাকে। বেচাকেনা বাড়াতে নোটগুলো খুবই সুলভমূল্যে বাজারে ছাড়ে তারা।

যেমন- ১০ হাজার টাকার এক বান্ডিল প্রোডাক্ট ১৮০০ টাকা। ৫০ হাজার টাকার এক বান্ডিল প্রোডাক্ট ১১ হাজার টাকা।

জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা ডিএমপিকে জানায়, পুলিশের নজর এড়াতে ছোট নোটকেই টার্গেট করেছে। কারণ, ছোট নোটে অভিযোগ দেবার আশঙ্কা কম থাকে। তাছাড়া, জাল নোটগুলোকে স্বাচ্ছন্দ্যে চালিয়ে দেওয়ার জন্য রাতের বেলায় বিনিময় করার পরামর্শ দিয়ে থাকে তারা। আর তাৎক্ষণিকভাবে হাতেনাতে ধরা পরা এড়াতে তারা অপেক্ষাকৃত কম আয়ের মানুষকে টার্গেট করে থাকে।

ঈদ-উল-ফিতরের পর ভারত থেকে উন্নতমানের সিকিউরিটি পেপার এনে আপডেট ভার্সনের জাল টাকা প্রিন্ট দেবার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এ চক্রের বাকি সদস্যদের আটক করতে খিলগাঁও থানা পুলিশের তদন্ত অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকার জালনোটের পাইকারি ক্রেতাকেও চিহ্নিত করতে পেরেছে ডিএমপি। (ঢাকাটাইমস/২৫এপ্রিল/এএ/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :