বিজিবির ফৌজদারি মামলার এখতিয়ারের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ফৌজদারি মামলা দায়েরের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে হাইকোর্ট। এ আদেশের ফলে বিজিবি এখন থেকে ফৌজদারি মামলা করতে পারবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বুধবার বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।
এর আগে মঙ্গলবার হাইকোর্টের একই বেঞ্চ বিজিবির ফৌজদারি মামলা করার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে এই বাহিনীর মামলা করার বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করে। আগামী ১৪ জুন এই রুলের ওপর শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত।
বিজিবি কর্তৃক দায়েরকৃত এক মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামির করা আবেদনের শুনানি নিয়ে ওই স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। আদেশের বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেছিলেন, ‘হাইকোর্ট যে আইনগত প্রশ্ন তুলেছে সেটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিজিবির সদস্য বাদী হয়ে ফৌজদারি মামলা করার সুযোগ আপাতত নেই।’
জানা যায়, বিজিবি ২০২২ সালে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য আটক করে। ওইদিনই আসামিদের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ এনে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(বি) ধারায় কসবার আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা করে বিজিবি।
মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। সেটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত। আসামি কামরুজ্জামান খান এই অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
ওই আবেদনের শুনানিতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার বিষয়ে বিজিবির আইনগত এখতিয়ার রয়েছে কি না আলোচনা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারা অনুযায়ী যে কেউ মামলা দায়ের করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিজিবিও এর বাইরে নয়।
আদালত বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইনের কোথাও বিজিবিকে মামলা দায়েরের ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়টি দেখতে পাওয়া গেল না। শুনানি শেষে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারি করেন।
(ঢাকাটাইমস/২৪মে/এফএ/ডিএম)