নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারাভিযান
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোমবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন কয়েক হাজার ব্যবহারকারী। আয়োজক পক্ষ জানায়, কবি, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, আইনজীবী, অ্যাকটিভিস্ট, শিল্পীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তি এ দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন।
তারা জানান, ফেসবুকসহ, টুইটার, ইনস্টাগ্রামেও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে একই হ্যাশট্যাগে পাঁচ হাজারের বেশি ব্যবহারকারী তাদের মত প্রকাশ করেছেন।
সোমবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সাংবাদিক ও গবেষক মারুফ মল্লিক জানান, এর আগে এমন দাবিতে সোমবার (১০ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এ সময় একই বিষয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করেন, অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, গীতিকার লতিফুল ইসলাম শিবলী, কবি ব্রাত্য রাইসু, কবি সাখাওয়াত টিপু, নির্মাতা আশফাক নিপুণ, লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আ আল মামুন, কথাসাহিত্যিক মাহবুব মোর্শেদ, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদাল আহমেদ ও ইলিয়াস খান, সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরী, সাংবাদিক মারুফ কামাল খান, চিকিৎসক নেতা ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ, লেখক লুনা রুশদী, গাজী তানজিয়া, আসিফ সিবগাত ভূঁইয়া, জিয়া হাসান, ফয়েজ আহমদ তৈয়ব, ফাহাম আবদুস সালাম, প্রকাশক মাহাবুব রাহমান, লেখক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদসহ অনেকে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোটাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব কেবল নির্বাচনকালীন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে তা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে তাই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আয়োজকরা বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দলীয় সরকারের ব্যবস্থাপনায় নির্বাচনের যে উদাহরণ তৈরি হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি গণতন্ত্রকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং দেশকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিবেচনায় রাখলে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের বিকল্প নাই।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল বলেন, ‘এটি একটি অভিনব কর্মসূচি। জনগণের মত যাচাইয়ে এটি একটি চমৎকার উপায়। এ বিষয়ে পেশাজীবী অনেক প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও মত দিয়েছেন। একটি সুষ্ঠু, সর্বজনগৃহীত নির্বাচনের জন্য আমিও এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি।’
(ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/কেএম)