চিত্রনায়িকা মিমের প্রেমের গল্প নাটক-সিনেমার চেয়ে কম নয়

গত বছরের ৪ জানুয়ারি ব্যাংক কর্মকর্তা সনি পেদ্দারকে বিয়ে করে সুখে সংসার করছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। কিন্তু জানতেন কি, বিয়ের আগে তারা দীর্ঘ ছয় বছর চুটিয়ে প্রেম করেন? অধিকাংশেরই জবাব হবে, ‘না তো’!

যেখানে এফডিসিপাড়ার কেউই জানতেন না বিষয়টা, সেখানে আমজনতা জানবে কীভাবে! ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর নিজের জন্মদিনে সনির সঙ্গে আংটি বদল করেন মিম। এর পরদিন নায়িকা প্রকাশ করেন তার সেই গোপন সম্পর্কের কথা।

কিন্তু মীম কাজ করেন অভিনয় জগতে, সনি পোদ্দার কর্মরত বর্তমানে সিটি ব্যাংকে। তাদের পরিচয় হলো কীভাবে?

মিমের ভাষ্য মতে, স্বামী সনি পোদ্দারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সানজিদা অর্নি নামে এক কমন ফেন্ডের মাধ্যমে। সে সময় আরেক বেসরকারি ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে সনি ও অর্নি ছিলেন সহকর্মী।

অভিনেত্রীর কথায়, ‘অর্নি আমাকে প্রায়ই জিজ্ঞেস করত আমার লাইফে কেউ আছে কি না, কারও সঙ্গে প্রেম করি কি না। আমি একবার মজার ছলেই ওকে বললাম, খোঁজ পেলে দেখ।’

‘এরপর ও (অর্নি) বলে, দোস্ত একটা ভালো ছেলে আছে। কথা বলবি? আমি সরাসরি না করে দেই। কারণ চিনি না, জানি না, কেন কথা বলব! অর্নি বলল, বন্ধু হিসেবেই কথা বল। তাই নরমালি বন্ধু হিসেবে কথা বলা শুরু।’

মিম জানান, এরপর তারা তিনজন মিলে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে একটি গ্রুপ খুলে কথা বলা শুরু করেন। কিন্তু কিছুদিন পরই মিম এবং সনি আলাদা কথা বলা শুরু করেন। যেটা তাদের কমন ফ্রেন্ড অর্নি জানতেনই না।

গ্রুপে চ্যাট প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্নি প্রায়ই মিমকে জিজ্ঞেস করতেন, সনির সঙ্গে কথা হয় কি না। মিম বলতেন, কই না তো। পরে ঠিকই ধরা পড়ে যান নায়িকা।

মিম দাবি করেন, ভালোবাসার কথাটা সনিই তাকে প্রথম বলেছিলেন। অভিনেত্রী বলেন, ‘তারিখটা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবরের ১১ তারিখ হবে হয়তো! আসলে তারিখটা নির্দিষ্ট করে মনে নেই। এগুলো সনি খুব ভালোভাবে মনে রাখতে পারে।’

নায়িকা বলেন, ‘আমাদের প্রথম দেখা হয় গুলশানের গ্লোরিয়া জিনস রেস্টুরেন্টে। ২০১৬ সালে। আমি তখন খুব নার্ভাস ছিলাম। কারণ প্রথম একটা মানুষের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। তাই অল্প কিছুক্ষণ থেকে বেরিয়ে আসি।’

অথচ বিয়ের আগ পর্যন্ত কেউ জানতেই পারেনি যে, সনি পোদ্দার নামে এক ব্যাংকারকে মন দিয়ে ফেলেছেন মিম।

এ বিষয়ে অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘আমি ব্যক্তিগত জীবন নিজের মতো করে রাখতে পছন্দ করি। তাই মানুষকে জানানোর ইচ্ছা ছিল না। ইচ্ছা ছিল অফিসিয়ালি জানাবো। যেমন জন্মদিনে বাগদান সেরে জানিয়েছি। আমি চাইনি আমাদের সম্পর্ক নিয়ে বাইরে চর্চা হোক।’

তবে মিম-সনির সম্পর্ক নিয়ে মানুষ চর্চা করার সুযোগ না পেলেও এই নায়িকার ক্যারিয়ারে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা কম হয়নি। বিয়ের আগ পর্যন্ত তিনজন তারকার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তার।

শুরুর দিকে যখন মিম নাটকে অভিনয় করতেন, তখন অভিনেতা আব্দুন নূর সজলের সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন ছড়ায়। এরপর অভিনেতা ও গায়ক তাহসান রহমান খানের সঙ্গে।

পরবর্তীতে মিম বড় পর্দায় পথচলা শুরু করেন। সেখানে চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরীর সঙ্গে পরপর তিনটা সিনেমায় অভিনয়ের পর সবাই তো এ জুটিকে বিয়ে দিয়ে হানিমুনে পর্যন্ত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।

কিন্তু মিমকে নিয়ে ছড়ানো কোনো গুঞ্জনেরই সত্যতা কখনোই মেলেনি। বিয়ের পর পরীমনির প্রাক্তন স্বামী শরীফুল রাজের সঙ্গে মিমের নাম জড়িয়েও নানা খবর প্রকাশ হয়েছে। তবে সে খবরেরও কোনো সত্যতা মেলেনি।

(ঢাকা টাইমস/১২নভেম্বর/এজে)