জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কমনওয়েলথ দেশগুলোর আরও ঘনিষ্ঠ হওয়া উচিত: সায়মা ওয়াজেদ
ডব্লিউএইচও মহাপরিচালকের মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ক উপদেষ্টা এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)-এর ভলনারেবিলিটি বিষয়ক থিমেটিক দূত সায়মা ওয়াজেদ বলেছেন, ‘কমনওয়েলথ দেশগুলোর জলবায়ু সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা ও সমাধানের জন্য আরও ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করা উচিত। কেননা অনেক দেশের কাছে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য নিজস্ব পর্যাপ্ত সম্পদ নেই।’
লন্ডনের কমনওয়েলথ সচিবালয়ে অনুষ্ঠেয় কমনওয়েলথ নারী নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে শুচনা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে অংশীদারিতে মঙ্গলবার লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ও কমনওয়েলথ আয়োজিত ‘জলবায়ু ঝুঁকি ও মানসিক স্বাস্থ্য: নারীদের কণ্ঠস্বর’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিলে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সায়মা ওয়াজেদ বলেন, ‘একটি সম্মিলিত পদ্ধতি এবং বিশ্বব্যাপী সচেতনতার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য অবস্থার প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার ওপর আরও গুরুত্ব দিতে হবে।’ ২০২৩ কমনওয়েলথ এনসিডি গাইডিং ফ্রেমওয়ার্কের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজের ওপর আলোকপাত করেন এবং এই ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে বৈশ্বিক সহযোগিতার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে কমনওয়েলথকে কপ২৮-এ প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠেয় স্বাস্থ্য দিবসে উৎসর্গীকৃত একটি জলবায়ু এবং মানসিক স্বাস্থ্য স্থিতিস্থাপকতা দিবসের আয়োজন করার সুপারিশ করেছেন তিনি।
২০২৩ কমনওয়েলথ এনসিডি গাইডিং ফ্রেমওয়ার্ক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্যের পরিবেশ বিভাগের পরিবেশগত গুণমান ও স্থিতিস্থাপকতা, খাদ্য ও গ্রামীণ বিষয়ক মন্ত্রী রেবেকা পাও এমপি, সমতা দপ্তরের ছায়ামন্ত্রী ইয়াসমিন কুরেশি, কেনসিংটনের কনজারভেটিভ এমপি এবং হাউজিং ও হোমলেসনেস ফেলিসিটি বিষয়ক সংসদীয় আন্ডার সেক্রেটারি অফ স্টেট বুচান এবং ইউকে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রপ ফর ইউএন উইমেনের চেয়ারম্যান ব্যারনেস ভার্মা প্রমুখ।
(ঢাকা টাইমস/১৬নভেম্বর/এসএম)