পোচ-সিদ্ধ নাকি অমলেট? কোন উপায়ে ডিম খেলে বেশি উপকার জানুন

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৮

অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার ডিম। এই ডিমকে একেক জন একেকভাবে খেতে পছন্দ করেন। কারও পছন্দ পোচ, কারও বা অমলেট। কেউ কেউ আবার পুষ্টিগুণের কথা মাথায় রেখে স্বাদের ধার ধারেন না, তারা ডিম সিদ্ধ করে খেতেই বেশি পছন্দ করেন।

আজকের আলোচনার বিষয় হলো, এই তিনটির মধ্যে কোন উপায়ে ডিম খেলে বেশি উপকার মেলে। চলুন তবে জেনে আসি এ ব্যাপারে পুষ্টিবিদরা কী বলছেন।

প্রতিদিন একটা করে ডিম

একটি ডিম থেকে মোটামুটি ৭৩ ক্যালোরি, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম ফ্যাট পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, কোলিন, জিঙ্ক, আয়রন, ক্যালশিয়ামের মতো একাধিক জরুরি খনিজ এবং ভিটামিন। তাই দেহে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে নিয়মিত ডিম খেতেই হবে। তাতেই হাতেনাতে উপকার পাবেন।​

ডিমের পোচ না অমলেট খেলে উপকার পাবেন বেশি?​

এ ব্যাপারে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ডিমে সালমোনেল্লা নামক একটি ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা ডায়ারিয়া বাঁধানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই ডিম অমলেট বা সিদ্ধ করেই খাওয়া উচিত। তাতেই এই জীবাণুর ভবলীলা সাঙ্গ হবে। অন্যদিকে, পোচ খেলে এই জীবাণুর ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই স্বাস্থ্যগুণে ডিমের পোচ এবং অমলেটের মধ্যে অমলেটকেই কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখতে হবে।

​অমলেটেও রয়েছে বিপদ​

পুষ্টিবিদদের কথায়, অমলেট বানানোর সময় প্রচুর পরিমাণে তেল দেওয়া হয়। তাতেই এই খাবারের ক্যালোরি ভ্যালু অনেকটা বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল বা হাই প্রেশার থাকলে প্রতিদিন অমলেট খাওয়া চলবে না।

এমনকি ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকলেও এই খাবার এড়িয়ে চলুন। তবে আপনারা চাইলে মাঝেমধ্যে বেশ কিছু সবজি সহযোগে অল্প তেলে অমলেট বানিয়ে খেতেই পারেন। তাতে বিপদের ফাঁদে পড়ার তেমন একটা আশঙ্কা থাকবে না বললেই চলে।

গুণের রাজা সিদ্ধ ডিম​

সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত সিদ্ধ ডিম খেতেই হবে। এক্ষেত্রে যে কোনো সুস্থ ব্যক্তি দিনে একটি গোটা ডিম খেতেই পারেন। তবে ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার বা কোলেস্টেরল থাকলে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন একটা করে ডিম খান। বাকি দিনগুলো ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। তাতেই মিটবে শরীরে প্রোটিনসহ একাধিক পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি।

​কারা ডিম খাবেন না?​

ডিমে অ্যালার্জি থাকলে তা এড়িয়ে চলাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। নইলে পেট খারাপ থেকে শুরু করে অ্যালার্জিসহ একাধিক জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে। এমনকি ক্রনিক কিডনি ডিজিজে ভুক্তভোগীরাও চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই ডিম খান। নইলে সমস্যার শেষ থাকবে না।

(ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :