ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেলবন্ধনের নবসূচনা হলো: উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় মেলবন্ধনের নবসূচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তি প্রোগ্রামের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনকালে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের সঙ্গে ভিজিল্যান্স উপ-কমিটির সদস্য ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে গ্রহণ করা হয়েছে। ময়মনসিংহ অঞ্চলের কেন্দ্র হিসেবে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নেওয়ায় আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মেলবন্ধনের যে নবসূচনা হলো আশা করি ভবিষ্যতেও এটি অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্রছাত্রী, ছাত্রদের রাজনৈতিক সংগঠনসহ ক্রিয়াশীল সংগঠন, স্থানীয় প্রশাসন, জনগণ, সাংবাদিকবৃন্দ সবাই আমাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সকলেই নিরলস পরিশ্রম করেছেন। মোট কথা সকলের সহযোগিতা পাওয়ার মধ্য দিয়েই আমাদের এই ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত আনন্দমুখরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ জন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আস্থার জায়গায় উপনীত করা প্রশাসনের লক্ষ্য জানিয়ে ভবিষ্যতে অন্য প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবেও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে বিবেচনা করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিন।
এদিকে পরীক্ষার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেখে উপস্থিত অভিভাবকরাও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭ হাজার ২শ ৬৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬ হাজার ৭শ ৬৪ জন পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত ছিলেন ৫০২ জন। উপস্থিতির হার ৯৩.০৯ শতাংশ।
(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন