বাজারে চিনির কৃত্রিম সংকট, খুচরা বিক্রেতা ও ক্রেতাদের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৭| আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৫
অ- অ+

আসন্ন রমজান সামনে রেখে চিনির বাজারে কৃত্রিম সংকট শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে আমদানিকারক ও মিল মালিকদের কবজায় পর্যাপ্ত চিনি থাকলেও পাইকারি বাজারে চিনি নিয়ে ছিনিমিনি শুরু করেছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা ২০-২২ লাখ মেট্রিক টন, যার মধ্যে রমজান মাসেই চাহিদা প্রায় আড়াই লাখ টন। ডলার সংকট থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববাজারে বুকিং রেট কম থাকায় রমজান মাস সামনে রেখে রেকর্ড পরিমাণ চিনি আমদানি করেছেন মিল মালিকরা। তবু এই সময়ে চিনির বাজারে অস্থিরতায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন খুচরা বিক্রেতা ও সাধারণ ক্রেতারা।

চিনির বাজারে অস্থিরতা শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার। এদিন সরকার চিনিতে কেজিপ্রতি ২০ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েও ওইদিন রাতেই এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে। কিন্তু খাদ্য অধিদপ্তরের এই ঘোষণাকেই পুঁজি করে চিনির দাম বাড়িয়ে দেন মিল মালিক থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী পর্যন্ত। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত দুই দফায় পাইকারি পর্যায়ে বস্তাপ্রতি ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা বাড়ানো হয়। আর খুচরা পর্যায়ে ৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজি ১৪৫ টাকায় বিক্রি হয়। যা সবশেষ দুই মাস ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।

অন্যদিকে প্যাকেটজাত চিনি খুচরা বাজারে বিক্রি হয় ১৫০ টাকায়। এরপর মঙ্গলবার থেকে পাইকারি ও মিলেগেটে চিনির দাম কমিয়ে আনা হলেও ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকাতেও খুচরা বাজারে কমসংখ্যক দোকানে পাওয়া যাচ্ছে খোলা ও প্যাকেটজাত সাদা চিনি।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, কোনো দোকানে ১৪৫ এবং কোনো দোকানে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খোলা চিনি। আর প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়।

অপরদিকে বেশির ভাগ দোকানে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। নিয়মিত চিনি বিক্রি করলেও হঠাৎ চিনি না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে আকবর নামের একজন খুচরা বিক্রেতা বলেন, “পাইকাররা চিনির দাম নিয়ে একেক দিন একেক রকম বলছে। নিয়মিত মাল দিচ্ছে না। প্যাকেটের চিনিগুলো গায়ের রেটেই কিনতে হচ্ছে। গায়ের রেটে কিনলে ক্রেতা থেকে বেশি দাম চাইলে তাদের সঙ্গে ঝামেলা লেগে যায়। এজন্য চিনি বিক্রি আপাতত বন্ধ রেখেছি। বাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় চিনি বিক্রি শুরু করব।”

আবুল কালাম নামের একজন ক্রেতা ঢাকা টাইমসকে বলেন, “রমজানকে সামনে রেখে চিনির দাম আরও বাড়াতে সিন্ডিকেট চিনি আটকে রাখছে। সরকার কঠোরভাবে তাদেরকে ধরলে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।”

কারওয়ান বাজারের পাইকারি চিনি বিক্রেতা মো. ইব্রাহিম বলেন, “গত সপ্তাহে চিনির দাম বাড়ানো হলেও দুদিন হলো আগের দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বাজারে চিনির সরবরাহ কম। ডিও থেকে মাল কম ছাড়ছে। এজন্য খুচরা ব্যবসায়ীদের পর্যাপ্ত চিনি দিতে পারছি না। দাম হঠাৎ ওঠানামা করায় মিলগেট থেকে চিনি কম ছাড়ছে।”

এদিকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার কাজী ইরাজ ইশতিয়াক বলেন, “আমাদের কাছে চিনি আমদানির যে বিল অব এন্ট্রিগুলো পড়ছে বা জাহাজে চিনি আমদানির যে খবর আমরা পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে না রমজান মাসে চিনির কোনো সংকট হতে পারে।”

(ঢাকাটাইমস/২৯ফেব্রুয়ারি/এলএম/এফএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
‘ধামাকা শপিং’-এর চেয়ারম্যান এম আলীকে ধরে থানায় দিল জনতা
তারেক রহমানকে শরণখোলা বিএনপির নেতাদের চিঠি, কাউন্সিলে আঞ্জুমান আরার প্রার্থীতা বাতিলের দাবি
সনাতনী জনগণের মাঝে বিএনপির বার্তা পৌঁছে দিলেন কাজী আলাউদ্দিন
বিচার সংস্কার ও নতুন সংবিধানের মাধ্যমেই দেশ পুনর্গঠন করতে হবে: নাহিদ ইসলাম
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা