বাজারে অপরিপক্ব তরমুজ, তবু দাম চড়া

চৈত্রের শুরুতেই চাঁদপুরে ট্রলার বোঝাই করে তরমুজ আসতে শুরু করেছে। মৌসুম শুরু না হওয়ার আগেই বাজারে নিয়ে আসা তরমুজগুলো অনেকটাই অপরিপক্ব। কিন্তু সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে রসালো এ ফল।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার সর্ববৃহৎ তরমুজ ও কাঁচামালের আড়ত শহরের ১০নং চৌধুরী ঘাটে। বরিশালসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ট্রলারে করে এখানে তরমুজ আসে। ঘাটে আনার পর তরমুজগুলো আড়তে তোলা হয়।
বরিশালের গলাচিপা থেকে আসা কৃষক রুবেল মাতাব্বর বলেন, গত বছর বৃষ্টির কারণে আমাদের তরমুজ জমিতেই নষ্ট হয়ে গেছে। এই বছর ফলন ভালো হয়েছে। এখন আবহাওয়া ঠিক থাকলে আমরা লাভবান হব। তিনি বলেন, কিছু তরমুজ চাঁদপুরে নিয়ে এসেছি। এখানে প্রচুর চাহিদা। একই সঙ্গে তরমুজ কম থাকায় দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। তবে সব কৃষক তরমুজ আনা শুরু করলে দাম কিছুটা কমবে বলে জানান তিনি।
তরমুজ ক্রেতা মাইনুল ইসলাম বলেন, তরমুজসহ সব ধরনের ফলের দাম বেড়েছে। এক একটি তরমুজ ৩০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর একটু বড় আকারের হলে ৬০০-৮০০ টাকাও দাম হাঁকাচ্ছে দোকানদার। তার ভাষ্য মতে, বাজারে আসা তরমুজগুলো অপরিপক্ব এবং আকারে ছোট কিন্তু দাম বেশি। অধিক মুনাফার আশায় চাষিরা ক্ষেত থেকে অপরিপক্ব তরমুজ বাজারে নিয়ে আসছে। এ সময়ে প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করা উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
চাঁদপুর চৌধুরী ঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন হাওলাদার বলেন, গত বছর তরমুজের চাষ করা কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ বছর এখনও মৌসুম শুরু হয়নি। আড়তে প্রতিদিন কিছু কিছু তরমুজ আসছে। সরবরাহ কম থাকলেও চাহিদা বেশি। এ জন্য দামও বেশি। কিছুদিন পর একযোগে তরমুজ আসতে শুরু হলে দাম কমে যাবে।
(ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন