কালো থেকে যে মন্ত্রে ফর্সা হয়েছেন বলিউড নায়িকা কাজল

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৩

১৯৯২ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ‘বেখুদি’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল কাজলের। প্রথম সাফল্য আসে ১৯৯৩ সালে শাহরুখ খানের বিপরীতে ‘বাজিগর’ দিয়ে। ৯০-এর দশকে একের পর এক হিট দিয়ে গেছেন তিনি। এখনো তিনি প্রথম সারির অভিনেত্রী।

তবে ক্যারিয়ারের দিকে থেকে সাফল্য এলেও নিজের শ্যামলা গায়ের রঙের কারণে কম কটাক্ষ আর সংগ্রামের মুখে পড়তে হয়নি কাজলকে। এক সাক্ষাৎকারে সেই বিষয় নিয়ে কথা বলেন অজয় দেবগন-পত্নী।

এক চ্যাট শো-তে কাজলকে বলতে শোনা যায়, ক্যারিয়ারের শুরুতে তাকে ‘কালো-মোটা’বলে ডাকা হতো। এমন একজন যে সারাক্ষণ চশমা পরে থাকে। যদিও এসব নিয়ে খুব একটা ভাবতেন না তিনি। কারণ মনে মনে জানতেন তিনি কুল, স্মার্ট, সবমিলিয়ে তাকে নিয়ে যারা নেতিবাচক মন্তব্য করছে তাদের থেকে অনেক ভালো।

তবে কাজল মেনে নেন, নিজের গায়ের রঙকে ভালোবাসতে অনেকটা সময় লেগেছিল তার। তিনি যে প্রকৃতই সুন্দরী, এটা বিশ্বাস করতেও সময় লেগেছিল। কাজলের কথায়, ৩২-৩৩ বছর বয়সে গিয়ে আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে নিজে বলা শুরু করেন, তাকে যথেষ্ট সুন্দর দেখতে।

অভিনেত্রী জানান, এরপর থেকে নিজেকে বিশ্বাস করতে শুরু করেন। কাজলের কথায়, ‘ওই যে সবাই বলে তুমি ততক্ষণ দেখনদারি করবে যতক্ষণ না তুমি বিশ্বাস করবে এবং অবশেষে তুমি এটা করতে পারবে।’

একসময়ের সেই ‘মোটা-কালো’ তকমা পাওয়া কাজলের পরে বিরাট পরিবর্তন হয়। অনেক ফর্সা হয়ে যান তিনি। কীভাবে এটা সম্ভব হলো?

বলিউডের অন্দরে কানাঘুষা, ত্বক ফর্সার জন্য সার্জারির সাহায্য নিয়েছেন কাজল। যদিও সে দাবি নাকচ করে দিয়েছেন অভিনেত্রী।

ব্যাপারটা হেসে উড়িয়ে দিয়ে কাজল বলেন, তিনি দীর্ঘদিন সূর্যের তাপ থেকে দূরে আছেন। একসময় টানা সূর্যের নীচে কাজ করেছিলেন, যা তাকে ট্যান করে দিয়েছিল। তবে বর্তমানে তিনি সূর্যের থেকে দূরে থাকায় গায়ের রঙ একটু বিবর্ণ লাগে।

তবে শুধু কাজল নয়, অভিনেত্রীর মেয়ে নাইশার ক্ষেত্রেও একই কানাঘুষা শোনা যায় বলিউডে এবং সামাজিক মাধ্যমে। ছোটবেলায় দেখতে খুবই কালো ছিলেন নাইশা। ২১ বছর বয়সি সেই নাইশাকে বর্তমানে চেনাই দায়। অনেক ফর্সা হয়ে গেছেন কাজল-কন্যা।

(ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :