ব্যভিচারের মামলায় শিক্ষকের কারাদণ্ড

চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই প্রথম ব্যভিচারের মামলায় এক শিক্ষকের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া এলাকার আবুল হাসানের ছেলে নাজমুল হাসান (৪০)।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এই রায় প্রদান করেছেন।
এর আগে গত ৮ মে চাঁদপুরের শাহরাস্তি আমলি আদালতে নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে ব্যভিচারের মামলা দায়ের করেন লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ জিয়াউল হক জিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক সেলিনা পারভীনের স্বামী কবির আহম্মেদ।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সেলিনা পারভীন চাঁদপুর শহরের আদালত পাড়া এলাকার মৃত মমিনুল ইসলামের মেয়ে। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ জিয়াউল হক জিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক। সেলিনা পারভীন এক সন্তানের জননী হওয়া সত্ত্বেও একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নাজমুল হাসান তার সঙ্গে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি টের পেয়ে সেলিনা পারভীনের স্বামী কবির আহম্মেদ বাদী হয়ে চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় বিভিন্ন সময় নিজ বাসায় ও ভাড়া বাসায় তারা অনৈতিক সম্পর্কে মিলিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
বাদীর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দণ্ডবিধির ৪৯৭ ও ৪৯৮ ধারায় ব্যভিচারের ঘটনায় বিচারিক সহজাত ক্ষমতা বলে প্রথম আসামি নাজমুল হাসানকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও নগদ ৫০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত থাকায় তাকে আটক করে জেলে প্রেরণ করা হয়।
মামলার বাদী কবির আহম্মেদ বলেন, আমার স্ত্রী সেলিনা পারভীন তার প্রতিষ্ঠানের কৃষি শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক নাজমুল হাসানের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি টের পেয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ঘটনার সময় তাদেরকে এক সঙ্গে দেখা যায়। আমার স্ত্রী পরিবারের কারো কথা কর্ণপাত করে না। আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে নগদ টাকা, কয়েক ভরি স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়।
অভিযুক্ত সেলিনা পারভীন বলেন, আমার সঙ্গে ঐ শিক্ষকের ভালো সম্পর্ক ছিল। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।
(ঢাকাটাইমস/১৭এপ্রিল/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন