সকাল হলেই নওগাঁর দুই উপজেলায় ভোট, ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৩৫ প্রার্থীর
সকাল হলেই শুরু হবে নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলায় ভোটগ্রহণ। গত সোমবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় শেষ হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। এখন শুধু অপেক্ষা ভোটগ্রহণের। বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হবে ভোট গ্রহণ, একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে সকল প্রস্তুতি।
সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৩০ হাজার একশ ৫২জন। এদের ভোটেই ভাগ্য নির্ধারিত হবে ৩৫ প্রার্থীর। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের ছয় পদের জন্য লড়ছেন এই ৩৫ প্রার্থী।
জানা যায়, রাণীনগর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৬০ হাজার পাঁচজন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আটজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আত্রাই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৭০ হাজার ১৫২ জন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আটজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে ব্যাপক নিরাপত্তাসহ সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারেন সেজন্য ভোট কেন্দ্রের সবগুলোতে পুলিশ প্রশাসন সর্বদা নজর রাখছেন। এছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ, র্যাব বিজিবির সমন্বয়ে মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং টিম, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ টিম এবং সিনিয়র কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আরেকটি টিম সার্বক্ষণিক টহলরত থাকবে।
দুই উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানান, ভোটাররা যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন সে ব্যাপারে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, ভোটাররা কেন্দ্রে এসে যেন সুন্দরভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারে সেই জন্য আমরা সকল ধরনের ব্যবস্থা করেছি। নির্বাচন কেন্দ্রিক কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। রাণীনগরকে একটি সেক্টর করে দুটি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়েছে। এখানে আমি সেক্টর কমান্ডার হিসেবে সর্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবো। মোটকথা ভোটারদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
(ঢাকাটাইমস/২৮মে/প্রতিনিধি/পিএস)