ঘূর্ণিঝড় গায়েমির আঘাতে ফিলিপাইন, তাইওয়ানে নিহত ২৩

শক্তিশালি ঘূর্ণিঝড় গায়েমির তান্ডবে বিপর্যস্ত ফিলিপাইন ও তাইওয়ান। ঘূর্ণিঝড়টির আঘাতে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলাসহ দেশটির উত্তরাঞ্চলে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে তাইওয়ানে এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ফিলিপাইনের সরকারি দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার ফিলিপাইনের উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় গায়েমি। এরফলে রাজধানী ম্যানিলাসহ বিভিন্ন শহর ও গ্রামে বুধবার থেকেই শুরু হয় বন্যা। এতে ৬ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচুত্য হয়েছেন। ম্যানিলার প্রধান বিমানবন্দর ১১৪টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
ম্যানিলা-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিল স্টার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়েরর প্রভাবে ১০ লাখের বেশি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মুসলিম মিন্দানাওয়ের বাংসামোরো স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, যেখানে ৬ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ১৩ লাখ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জেআর বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রাজধানী সহ বন্যা কবলিত প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ত্রাণ তৎপরতা শুরু করা হয়েছে। এছাড়া বন্যায় আটকে পড়াদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার কাজও চলছে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই ঘূর্ণিঝড় গায়েমির প্রভাবে তাইওয়ানে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছে প্রশাসন।
তাইওয়ানের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দেশের একটা বড় অংশের উপর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে। তাই মানুষকে চূড়ান্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্কুল ও অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলও বন্ধ। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ২৯ হাজার সেনাকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট লাই বলেছেন, মানুষ যেন নিজের নিরাপত্তার কথা প্রথমে ভাবেন। তিনি জানিয়েছেন, তাইওয়ানের জন্য আগামী ২৪ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড়কে গত আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করা হচ্ছে। এর প্রভাবে ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। দক্ষিণ ও মধ্য তাইওয়ানে এক হাজার আটশ মিলিমিটার বা ৭০ ইঞ্চি বৃষ্টি হতে পারে।
(ঢাকাটাইমস/২৫জুলাই/এমআর)

মন্তব্য করুন