সোনামসজিদে আমদানি-রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ, কেন
পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে রোববার অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন আমদানি-রপ্তানীকারকরা।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড ভারত থেকে আমদানিকৃত পাথরের ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যে অযৌক্তিক হারে চাঁদাবাজি করছে। তাদের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে আমদানি-রপ্তানিকারকরা লোকসানের শিকার হচ্ছেন। তাই অন্য বন্দর দিয়ে তারােআমদানি-রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়ীরাও একাত্মতা ঘোষণা করেন জানিয়ে আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি বলেন, ফলে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ।
আমদানি-রপ্তানিকারক নূর আলম জানান, ভারত থেকে কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্য এ বন্দরে নিয়ে এলে পানামা পোর্ট লিংক অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। শুধু পানামার অনিয়মের কারণে এই বন্দর বয়কট করছেন তারা।
বিভিন্ন সময়ে পানামায় লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ- এমন অভিযোগ করে নূর আলম বলেন, ‘পানামার কারণে এ বন্দর ক্ষতির মুখে পড়ছে। এ বন্দর দিয়ে লোকসান হওয়ায় অন্য বন্দর দিয়ে আমরা পণ্য আনছি।’
পানামার অনিয়মের কারণে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এ বন্দর দিয়ে কোনো পণ্য দিতে চাচ্ছেন না বলে জানান আমদানি-রপ্তানিকারক আলমগীর জুয়েল। বলেন, ‘তারা আমাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। যত দিন পানামা পোর্ট লিংকের অনিয়মের সুরাহা না হবে, তত দিন এই বন্দরে বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি। তাই দ্রুত সমাধান না হলে এ বন্দর রাজস্ব ক্ষতির মুখে পড়বে।’
পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম দাবি করেন তাদের কার্যক্রমে কোনো অনিয়ম নেই। তবু আমদানি-রপ্তানিকারকরা পণ্য আনা বন্ধ রেখেছেন। তবে তারা চাইলেই আমদানি-রপ্তানি করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
আর সোনামসজিদ শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার নুর উদ্দীন মিলন জানান, এই স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলে সরকার প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাবে।
(ঢাকাটাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/মোআ)