শেখ হাসিনা নতুন আঙ্গিকে বাকশাল করেছিলেন: রিজভী
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনকালে বিচারবিভাগের বিচারকরা অনেকেই রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলেছেন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিকের কথা শুনে মনে হতো তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নাকি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আমরা তার মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখতে পাইনি।
তিনি বলেন, আমরা তো দেখেছি প্রধান বিচারপতিকে তরবারি উপহার দিচ্ছেন গোয়েন্দা বাহিনীর সাবেক প্রধান। ছাত্রলীগের ছেলেরা গিয়ে ফুল দিচ্ছে প্রধান বিচারপতিকে। পৃথিবীতে কোথাও নজির আছে এই ধরনের ঘটনার? অর্থাৎ এটাই হচ্ছে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী সরকার। কর্তৃত্ববাদী সরকার তার কর্তৃত্ব নিশ্চিত করতে গিয়ে আইন, বিচার প্রশাসন সবকিছুকে একাকার করেছিলেন। শেখ হাসিনা ঠিক বাকশালকে নতুন আঙ্গিকে করেছিলেন।
শনিবার দুপুরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, একদিকে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে অন্যদিকে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে করতে নিশ্চিত করতে হবে। এই দুটিকে সামনে রেখেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। সীমান্তে হত্যা হচ্ছে প্রতিদিন। এক দিন দুই দিন পর পর ঠাকুরগাঁয়ের সীমান্ত, লালমনিরহাটের সীমান্ত, হবিগঞ্জের সীমান্ত রক্তাক্ত হচ্ছে, ফেলানীর মতো অনেক কিশোরীর লাশ কাঁটাতারের ওপর ঝুলেছে কিন্তু গত সরকার তার একটা প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারেনি। পার্শ্ববর্তী দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী এই কাজগুলো করছে। এতটাই নতজানু ছিল শেখ হাসিনা সীমান্তে রক্তাক্ত হলেও একটা প্রতিবাদ করতেও সাহস পায়নি। নিজের দেশের গণতন্ত্রের জন্য যারা কথা বলেছে তাদের জায়গা হয়েছে আয়না ঘরে অথবা তাদেরকে বছরের পর বছর কাটাতে হয়েছে কারাগারে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এদেশের গণতন্ত্রের প্রতি জাতীয়তাবাদের প্রতি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি গণতন্ত্রের জন্য আজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন তাকে একটি জরাজীর্ণ কারাগারের মধ্যে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। যার স্বামী এদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন যিনি এদেশে বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ছিলেন তার সহধর্মিনীনি আপসহীন নেত্রীকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল কারাগারে বছরের পর বছর। সেরকম পরিস্থিতি যেন বাংলাদেশে আর না হয় সেই কারণে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে।
রিজভী বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত করতে হলে আইনের শাসন রুল অব ল এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অপরিহার্য শর্ত হচ্ছে গণতন্ত্র। মানুষের শেষ আশ্রয় হচ্ছে বিচার বিভাগ।
এসময় বিগ্রেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত জহুরুল হক, কর্নেল তৌহিদ পাঠান, কর্নেল আব্দুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুল রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকাটাইমস/০২নভেম্বর/জেবি
মন্তব্য করুন