সোনারগাঁয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিজয় দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে উপজেলা চত্ত্বরে ও বাহিরে বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার সমর্থকরা সকালে উপজেলার উদ্ধবগঞ্জ বাজারের শহিদুল্লাহ প্লাজায় জড়ো হন। মান্নান ও মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে একটি বিজয় মিছিল নিয়ে তারা উপজেলা চত্বরে প্রবেশ করেন। এসময় সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা সাবেক মন্ত্রী ও সংস্কার পন্থী হিসেবে খ্যাত রেজাউল করিমের সমর্থকদের মিছিল এলে ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উপজেলা থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান সমর্থক মোবারক হোসেন (৫৩), রনি হাসান মোল্লা, মামুন মোল্লা, রিফাত মোল্লা এবং রেজাউল করিম সমর্থক নুরে ইয়াসিন নোবেল, আনোয়ার হোসেনসহ দুই গ্রুপের প্রায় ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন।সংঘর্ষের খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর বারী পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এই সংঘর্ষের কারণে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় মেলা বাতিল করতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
এ ঘটনায় উপজেলা চত্বরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
আহত যুবদল নেতা মামুন মোল্লা জানান, থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের নেতৃত্বে বিজয় দিবস উপলক্ষে নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলায় মিছিল নিয়ে আসলে উপজেলা চত্বরে থাকা রেজাউল করিমের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান করে। এসময় আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
আহত ছাত্রদল নেতা রিফাত মোল্লা জানান, মান্নান সাহেবের পক্ষে মিছিল নিয়ে আসলে আগে থেকে অবস্থান করা রেজাউল করিমের সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা করে। তখন আমাকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার পুরো শরীরে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, রেজাউল করিমের লোকজন শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসে উষ্কানিমূলক আচরণের এক পর্যায়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর উত্তেজিত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। এতে আমাদের লোকজন আহত হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী জানান, শান্তিপূর্ণ বিজয় দিবস উদযাপনের পর উপজেলা চত্ত্বরে বাহিরে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষ থেকেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান জানান, উপজেলা পরিষদ চত্বরে কোনো ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। যে ঘটনা ঘটেছে তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এবিষয়ে কোনো পক্ষই অভিযোগ দেননি।
(ঢাকা টাইমস/১৬ডিসেম্বর/এসএ)
মন্তব্য করুন