ঘরের খুঁটি ঠিক করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল শ্বশুর–পুত্রবধূর, হাসপাতালে শাশুড়ি

নীলফামারী সদর উপজেলার ঘরের পুরোনো খুঁটি পরিবর্তনের সময় ছিঁড়ে থাকা বিদ্যুতের তার লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও একজন।
বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলার চাপড়া সরমজানি ইউনিয়নের ইটাপীর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের সোলাইমান হোসেন (৬০) এবং তাঁর বড় ছেলের স্ত্রী শাবানা বেগম (৩২)। আহত অবস্থায় নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সোলাইমানের স্ত্রী ওয়াতুননেসা (৫৫)।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে নিজ ঘরের একটি পুরোনো খুঁটি মেরামত করছিলেন সোলাইমান হোসেন। এ সময় অসাবধানতাবশত ছিঁড়ে থাকা একটি বিদ্যুতের তার ঘরের একটি ট্রাঙ্কের সঙ্গে সংযোগ হয়। তড়িৎ প্রবাহে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন সোলাইমান। এসময় তাকে বাঁচাতে ছুটে যান স্ত্রী ওয়াতুননেসা ও পুত্রবধূ শাবানা বেগম। কিন্তু বিদ্যুৎ প্রবাহ থেকে সোলাইমানকে আলাদা করতে গিয়েও তারাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে। ততক্ষণে সোলাইমান ও শাবানা মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় ওয়াতুননেসাকে উদ্ধার করে নীলফামারী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নওরীন আজম বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট রোগীকে যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখন তার স্বজনদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ ছিল। তারা বার বার জিজ্ঞেস করছিলো রোগী বেঁচে আছে কিনা। তবে রোগীর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রোগীর পর্যবেক্ষণের জন্য ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, এই পরিবারটি খুবই সাধারণ ও পরিশ্রমী। হঠাৎ এমন ঘটনায় সবাই বাকরুদ্ধ।
এ বিষয়ে নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. আব্দুল হান্নান বলেন, ‘ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, খুঁটি মেরামতের সময় বিদ্যুতের তারে অসতর্কতায় শর্টসার্কিট হয়ে থাকতে পারে।
(ঢাকাটাইমস/২১মে/এমআর)

মন্তব্য করুন