২ বছরে সারা দেশে ১০০ নতুন গ্যাসকূপ খনন করা হবে: জ্বালানি ও খনিজ সচিব

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, গ্যাসের সংকট কমাতে আগামী দুই বছরে সারা দেশে ১০০টি নতুন গ্যাসকূপ খনন করা হবে৷ এছাড়াও পুরোনো ৩১টি গ্যাসকূপ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শুক্রবার দুপুরে জামালপুরের মাদারগঞ্জের তারতাপাড়া গ্রামে জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্পের উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
এছাড়াও গ্যাস মজুদের জায়গার স্বল্পতা থাকায় বৃহৎ আকারে আমদানি সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি। তাই সরকার মজুদের জায়গা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আর জামালপুরে এই প্রকল্পে গ্যাস পাওয়া গেলে তা যমুনা সার কারখানায় প্রদানের কথা জানান তিনি।
তবে আগামী ৫ থেকে ১০ বছরে নতুন আবাসিক সংযোগ দেয়া সম্ভব হবে না। আর যারা অর্থ দিয়েছেন তারা সেই অর্থ ফেরত নিতে পারেন বলে জানিয়েছেন সাইফুল ইসলাম।বাপেক্স সূত্রে জানা যায়, ১৯৮০ সাল ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ সালে জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের তারতাপাড়া এলাকায় সাইসমিক জরিপে গ্যাস সন্ধানের তথ্য মিলে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা কার্যক্রম শেষ করে কূপ খননের কার্যক্রম শুরু করেন। কর্মকর্তারা আশা করছেন ওই কূপ থেকেও প্রতিদিন গড়ে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। গ্যাস পাওয়া যাবে ২৫ থেকে ৩০ বছর। উত্তোলন করা গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
জানা গেছে, জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্পের আওতায় এই কূপটি খনন করা হচ্ছে। প্রায় ১৬৮ কোটি টাকার ব্যয়ে কূপ খননের কাজ শুরু হয়। বাপেক্সের প্রকৌশলী ও শ্রমিকসহ ২২০ জন ব্যক্তি এই খননকাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এর আগে ১২ জানুয়ারি কূপ খননের স্থানে ড্রিলিং রিগ স্থাপন করা হয়েছে। ৯০ দিন চলবে এই খননকাজ।
কূপের খনন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়েব, জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আফসানা তাসলিমা।
বাপেক্স কর্মকর্তারা জানান, 'বেশ কয়েকবার এই জায়গায় জরিপ করা হয়েছে সেই তথ্য অনুযায়ী এই জায়গায় গ্যাস পাওয়া যাবে। এই গ্যাস সরিষাবাড়ী যমুনা সার কারখানা সহ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে। দেশের অর্থনীতি ও শিল্পায়নকে আরও গতিশীল করতে বাড়তি গ্যাস প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে মানুষের চাহিদা পূরণে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার।
কূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ মো. রকিবুল হাসান বলেন, 'ড্রিলিং রিগ’ স্থাপন করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে খননকাজের উদ্বোধন করা হয়। প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ২ হাজার ৮০০ মিটার পর্যন্ত খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কূপটির ৩টি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। খনন শেষে প্রতিটি জোন থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের আশা করা হচ্ছে। উত্তোলন করা গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
(ঢাকা টাইমস/২৪জানুয়ারি/এসএ)

মন্তব্য করুন