জামায়াত প্রতিশোধের রাজনীতি করে না: শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, 'আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি বিশ্বাস করি না। নইলে আমাদের ওপর যে জুলুম করা হয়েছে, যদি আমাদের কর্মীরা ধৈর্য না ধরতো, তাহলে এদেশে অনেক প্রতিশোধ নেয়া হয়ে যেত। তবে আমরা বলেছি হ্যাঁ, ওর যতগুলো খুন হয়েছে তার বিচার হতে হবে। আমরা এ বিচারের দাবি করি। খুনের বিচার যদি না হয় তাহলে খুনের সাংস্কৃতি বন্ধ হবে না। লুটপাটের বিচার যদি না হয় লুটপাটের সাংস্কৃতি বন্ধ হবে না। চাঁদাবাজির বিচার যদি না হয় চাঁদাবাজি বন্ধ হবে না। ঘুষখোরের বিচার না হলে ঘুষখোরি বন্ধ হবে না। সুতরাং সকল অন্যায়ের বিচার হতে হবে। আমরা দাবি করি। তবে আইন কেউ হাতে তুলে নেক এটাও আমরা পছন্দ করি না। আইন আইনের গতিতে চলবে। বিচার করতে গিয়ে কোন কবিচার হোক এটাও আমরা চাই না। আমরা চাই ন্যায় বিচারের মাধ্যমে যার যেটা পাওনা সেটা যেন পেয়ে যায়। এমন একটি বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই। আমাদের সন্তানদের আমরা আশ্বস্ত করতে চাই। তোমরা যে বৈষম্যবিরোধী স্লোগান দিয়ে বলেছিলে, 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' আমরাও তোমাদের সাথে আছি। তোমাদের অবদানের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ এবং তোমাদের ভালোবাসি ও শ্রদ্ধা করি। আমরা ন্যায়ের পক্ষ নেবো, অন্যায়ের প্রতিবাদ করবো। যদি অন্যায় নিরবে হজম করি তাহলে আমিও অন্যায়কারীর মদদদাতা হয়ে গেলাম। আমরা এই অপকর্মের দায় নিতে চাই না। এমনকি আমাদের দলের কেউ যদি এমনটা করে তাহলে বলবো তাদেরকে ধরেন, ছাড় দিবেন না। আমাদেরকে খবর দিবেন প্রশাসনকেও খবর দিবেন। এদের ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স।'
শনিবার সকালে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে জেলা জামায়াত আয়োজিত বিশাল কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দিনাজপুর জেলা আমির অধ্যক্ষ মো. আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মুহাদ্দিস ডক্টর এনামুল হকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে ডা. শফিকুর রহমান আরো বলেন, জামায়াতের লোকেরা চাঁদাবাজি করে না। দখল বাণিজ্য করে না। শত শত মানুষকে মামলায় ফেলে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেনি। ঘুষের ভাগাভাগি করে না। জাতিকে সামনে এগিয়ে নিতে সীসাঢালা প্রাচীরের মতো ঐক্য লাগবে। আমি বিনয়ের সাথে বলবো এমন কোনো হটকারী কাজ করবেন না, যার কারণে আমাদের জাতীয় ঐক্য নষ্ট হয়। আমরা যেন কেউ চুরি-চামারি না করি। চাঁদাবাজি, দখল বাণিজ্য ও মামলা বাণিজ্য না করি। ফ্যাসিস্টদের যেন কোনো রকম আশ্রয়-প্রশ্রয় প্রদান না করি।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, মতিউর রহমান প্রমুখ।
(ঢাকা টাইমস/২৫জানুয়ারি/এসএ)

মন্তব্য করুন