জামালপুরে বিএনপির কমিটিতে আ.লীগ নেতা, তৃণমূলে ক্ষোভ

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:৫৭
অ- অ+

জামালপুরের মেলান্দহে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে। ঘটনায় বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ত্যাগী নেতাকর্মীকে মূল্যায়ন করে ফের কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পদে স্থান পাওয়া ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম গোলাম মতিউর রহমান মুক্তা। তিনি কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য টনকী জোবায়দা জোব্বার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

আওয়ামী লীগ নেতাকে বিএনপির কমিটিতে রাখার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতারা বলেন, আগস্টের আগে গোলাম মতিউর রহমান মুক্তাকে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের মিটিং বিভিন্ন কার্যক্রমে। আবার আগস্ট সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তিনি হয়ে গেছেন বিএনপির নেতা। গা বাঁচাতে অনেকের মতো তিনিও আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে ভেড়েন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিএনপি নেতা বলেন, বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে থেকে সব সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তা। তিনি কীভাবে বিএনপির কমিটিতে স্থান পেলেন। মুক্তাসহ গত আগস্ট সরকার পতনের পর বিএনপি সেজে যারা দলে ঢুকে পড়েছে, তাদের প্রতিহত করতে হবে।’

বিএনপির ওই নেতা আরও বলেন,গত ১৭ বছর বিএনপির নির্যাতিত নেতাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি ঘোষণা করায় আমরা ক্ষুব্ধ। কমিটি থেকে তাকে বাদ দিয়ে ত্যাগী নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

কুলিয়া ইউনিয়নের নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটা তো ঠিক হয়নি। তাকে বহিষ্কারের জন্য হট্টগোল হচ্ছে, এখানে এর মধ্যে আমিও আছি। এটা কোনোভাবেই সম্ভব না। এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অনেক ত্যাগী সিনিয়র নেতারা কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন।’

এটা জানার পরও মুক্তা কীভাবে কমিটিতে স্থান পেলেন জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটা নেতায় দিয়েছে।’

মুক্তার আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘২০২১ সালে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে তাকে সদস্য করা হয়। ওই কমিটির আমি সাধারণ সম্পাদক। কমিটি এখনো বলবৎ রয়েছে।’

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘মানুষ তো আসলে বহুরূপী স্বার্থের জন্য এসব করে। তিনি (মুক্তা) এত দিন আওয়ামী লীগে থেকে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে। এটা আসলে তার ব্যক্তিগত অভিরুচি। আমাদের কমিটিতে কয়েক বছর ধরে থাকল, এখন আবার বিএনপিতে। বিষয়টি আমাদের সভাপতিকে জানিয়েছি।’

অভিযুক্ত গোলাম মতিউর রহমান মুক্তা মুঠোফোনে বলেন, ‘কেউ হয়তো আওয়ামী লীগের কমিটিতে আমার নাম দিয়েছে, আমি তা জানি না। স্কুলের প্রধান হিসেবে তখন বাধ্য হয়েই আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে যেতে হয়েছে। আমি অনেক আগে থেকেই বিএনপি করি।’

বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত বলেন, ‘এই ধরনের কোনো কার্যক্রম হলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের যদি কেউ অভিযোগ দেয় আর সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে যারা কমিটি দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/৮ফেব্রুয়ারি/মোআ

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
যশোরে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
ঈদ টার্গেট করে বিপুল জাল নোট তৈরি, ৪০ লাখ ছাড়ার পর পুলিশের হাতে ধরা
সুনামগঞ্জে শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড, সুপার ওভারে শূন্য রানেই অলআউট
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা