ছাতকে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলায় ইমাম গ্রেপ্তার

সুনামগঞ্জের ছাতকে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইমামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ইমামকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গত ৬ মার্চ উপজেলার ১নং ইসলামপুর ইউনিয়নের বনগাঁও (উত্তরপাড়া) জামে মসজিদে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে বলে জানা যায়।

অভিযুক্ত ইমাম সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বনী গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে।

রবিবার (৯ মার্চ) দুপুরে অভিযুক্ত ইমামের বিরুদ্ধে ভিকটিমের ফুফু সোনারা বেগম (৩০) বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ইমাম দীর্ঘদিন ধরে মসজিদে ইমামতি করে আসছিলেন। পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ওই মসজিদে পবিত্র কোরআন শিক্ষা (দারুল কিরাআত) চলছিল। গত ৬ মার্চ জোহরের নামাজের বিরতির সময় অন্য শিক্ষার্থীরা মসজিদ ত্যাগ করার পর ওই ছাত্রীকে ইমাম নিজ কামরায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।

এরপর গত বৃহস্পতিবার একইভাবে জোরপূর্বক আবারও ধর্ষণ করলে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় কিশোরীকে নিয়ে সন্দেহজনক আচরণ করতে দেখে স্থানীয়রা তাকে চ্যালেঞ্জ করে। একপর্যায়ে কিশোরী কান্নাজড়িত কণ্ঠে ধর্ষণের কথা জানালে উত্তেজিত জনতা ইমামকে আটক করে।

পরে অভিযুক্ত ইমামের বিরুদ্ধে ভিকটিমের ফুফু সোনারা বেগম বাদী হয়ে ছাতক থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত/০৩) এর ৯(১)তৎসহ ৫০৬(২) ধারায় মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তার ও মামলা দায়েরের বিষয় নিশ্চিত করে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানিয়েছেন, ‘আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কিশোরীকে মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/১০মার্চ/এজে)