ভৈরবে মৌটুপীর সংঘর্ষ নিয়ে পাশের গ্রামে দুই পক্ষে তর্ক, ঝরল প্রাণ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মৌটুপী গ্রামের সংঘর্ষে জেরে পাশের ভবানীপুর গ্রামের দুই পক্ষের সংঘর্ষে মিজান (৪১) নামের একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০ জন।
আজ শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ভবানীপুর সুলেমানপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মিজান উপজেলার ভবানীপুর সুলেমানপুর গ্রামের ময়দুর মুন্সির বাড়ির রবিউল্লাহ মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ডেকারেশন কর্মী ছিলেন।
আহতরা হলেন, ভবানীপুর গ্রামের দুদু মিয়া (৩২), অপু মিয়া (২৪), পাপু (২২) প্রমুখ। তাদের মধ্য দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ভৈরবের সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামের দুই বংশের সংঘর্ষের বিষয় নিয়ে গত বুধবার রাতে ভবানীপুর গ্রামের বধুর গোষ্ঠীর নেতা বাদশা মিয়ার সাথে সুলেমানপুর ময়দর মুন্সি গৌষ্ঠীর মিজান মিয়ার তর্কাতর্কি হয়। এই ঘটনাটি মীমাংসার জন্য সালিশ বসে। সালিশ চলাকালীন বধুর গোষ্ঠীর নেতা বাদশা মিয়ার লোকজনের সাথে ময়দর মুন্সির বাড়ির মিজান মিয়ার লোকের বাদানুবাদ হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সঘর্ষে গুরুতর আহত মিজানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মিজানের ফুফাতো ভাই পারভেজ মিয়া বলেন, ‘ভবানীপুর গ্রামের বধুর গোষ্ঠীর নেতা বাদশা মিয়া আমার ভাইয়ের সাথে মৌটুপীর ঝগড়া নিয়ে তর্কাতর্কিকরেন। এই বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয় দরবারিরা আজ সকালে সালিশে বসেন। সালিশেই আমার ভাইকে বাদশা তার দলবল নিয়ে হামলা চালিয়ে মেরে ফেলেন। আমরা তার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মেহেদি হাসান জানান, ভবানীপুর গ্রামের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত্যু ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় ২০ জনের বেশি আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, মৌটুপী গ্রামের সংঘর্ষের জেরে পাশ্ববর্তী ভবানীপুর সুলেমানপুর গ্রামের একজন নিহত হয়েছেন। পরবর্তীতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে।
(ঢাকাটাইমস/৮এপ্রিল/মোআ)

মন্তব্য করুন