সরকারি কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে চাঁদা আদায়, ১৫ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার ৪

রাজধানীর ভাটারা এলাকায় এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে আটক, মারধর ও জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগে দুর্ধর্ষ এক চক্রের চার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ভাটারা থানা পুলিশ।
শুক্রবার দিনগত রাতে ভাটারার বসুমতি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদার ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
শনিবার রাতে ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, নাজমুন নাহার সুখী (২৮) ২। কামরুন নাহার আঁখি (৩২) ৩। রুমানা ইসলাম স্মৃতি (৫০) ও ৪। মো. সাফাত ইসলাম লিংকন (২৫)।
ভাটারা থানা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম উচ্চপদস্থ একজন সরকারি কর্মকর্তা। গ্রেপ্তার কামরুন নাহার আঁখি তার পূর্ব পরিচিত। ভিকটিমের নিকট হতে বিভিন্ন প্রয়োজনে গত ৩-৪ মাসে ৫ লাখ টাকা ধার নেয় আঁখি। পরবর্তীতে ভিকটিম টাকা ফেরত চাইলে আঁখি টালবাহানা শুরু করে।
গত ১৮ এপ্রিল ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় আসেন ভিকটিম। পরদিন (১৯ এপ্রিল) বিকালে তার আরেক পূর্ব পরিচিত নাজমুন নাহার তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভার কেয়ার হাসপাতালের গেট থেকে ছোলমাইদ উত্তরপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে গ্রেপ্তার চারজনসহ অজ্ঞাতনামা একজন ভিকটিমকে আটক করে। সেখানে সাফাত ইসলাম বালিশ দিয়ে তার মুখ চেপে শ্বাসরোধের চেষ্টা করে এবং অন্যরা তার হাত-পা বেঁধে মারধর করে। অতঃপর তারা ভিকটিমের কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। প্রাণ বাঁচাতে তিনি আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের কাছ থেকে ৬০ লাখ ২৩ হাজার ৮০ টাকা সংগ্রহ করে তাদেরকে দেন। এরপর তারা ভিকটিমের নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তাকে ছেড়ে দেয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের ভাটারা থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। এ মামলায় গতরাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। চক্রের পলাতক এক সদস্যকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৬এপ্রিল/এলএম/এমআর)

মন্তব্য করুন