আসন্ন বাজেটে তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, নীতিনির্ধারক ও বিশিষ্টজনরা।
বুধবার সিরডাপ মিলনায়তনে ডর্প-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘তামাকপণ্যের মূল্য ও কর বৃদ্ধি এবং করনীতি সংস্কার’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে এ দাবি জানানো হয়।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ডর্প-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এইচএম নোমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান (যুগ্মসচিব), এনবিআরের প্রথম সচিব (করনীতি) মো. তারেক হাসান এবং সাবেক অতিরিক্ত সচিব হোসেইন আলী খন্দকার।
সেমিনারে বক্তারা নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেট একীভূত করে প্রতি ১০ শলাকার সর্বনিম্ন খুচরা মূল্য ৯০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানান। এছাড়া সব স্তরের সিগারেটে ৬৭% সম্পূরক শুল্ক, ১৫% ভ্যাট এবং ১% স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখার সুপারিশ করা হয়।
মূল প্রবন্ধে ডর্প-এর উপ নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান জানান, করনীতি সংস্কারে ধূমপানের হার ১৫.১% থেকে কমে ১৩.০৩%-এ নামবে, যার ফলে প্রায় ২৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান ছাড়তে এবং ১৭ লাখ তরুণ ধূমপান শুরু করতে নিরুৎসাহিত হবে। এতে প্রায় ৮.৬ লাখ অকাল মৃত্যু প্রতিরোধ এবং ২০ হাজার কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের মহাপরিচালক বলেন, ‘বর্তমান সিগারেট মূল্যস্তর কার্যকর নয়। নিম্ন ও মধ্যম স্তরের পার্থক্য কম হওয়ায় ধূমপান নিরুৎসাহিত হচ্ছে না। নতুন বাজেটে এটি সমন্বয় করা জরুরি।’
(ঢাকাটাইমস/২১মে/এলএম/এসএ)

মন্তব্য করুন