হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে ২২ জনকে পুশইন করল বিএসএফ

এবার ভারতীয় মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষা ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে ২২ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ।
মঙ্গলবার ভোর রাতে হালুয়াঘাটের সূর্যপুর সীমান্ত ও ধোবাউড়া উপজেলার মুন্সিপাড়া সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশইন করা হয় বলে জানা গেছে।
বিজিবি ও হালুয়াঘাট থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর ৪টায় হালুয়াঘাটের গাজীরভিটা ইউনিয়নের সুর্যপুর বিওপি আওতায় সীমান্ত পিলার ১১২৮/৬ এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশের সময় ১০ জনকে আটক করে। হালুয়াঘাট থানায় নিয়ে আসা হয়। বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত হালুয়াঘাট থানায় অবস্থান করছে বলে জানায় বিজিবি।
আটকৃতরা হলেন— নড়াইলের কালিয়া থানার কৃষ্ণপুর এলাকার ইদ্রিস মোল্লার স্ত্রী পারভীন আক্তার, তার মেয়ে মরিয়ম, মাগুরার শালিকা থানার ছানড়া এলাকার মৃত জাহিদ মণ্ডলের স্ত্রী রিনা আক্তার, তার মেয়ে মোছা. ডলি খাতুন, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার বেলকুচি গ্রামের মোকছেদ পরিমলের মেয়ে শান্তি বেগম, তার স্বামী মিরাজ আলী, তার মেয়ে আয়েশা খাতুন, নড়াইলের বাঁশগ্রাম বগুড়া এলাকার রাজি মোল্লার স্ত্রী শাহনাজ মোল্লা, ফরিদুপুরের নগরকান্দা থানার কোনাগ্রাম এলাকার মাসুদ মল্লিকের স্ত্রী রাজিয়া আক্তার, নড়াইলের নড়াইল থানার গারিয়াপুর এলাকার হায়াতুর রহমানের স্ত্রী মোছা. লিপিয়ার বেগম, যশোর জেলার দোয়াগাছিয়া গ্রামের হাসান আলীর স্ত্রী মোছা. সেলিনা খাতুন।
অপর দিকে ধোবাউড়ার মুন্সিপাড়া এলাকা দিয়ে ১২ জনকে পুশইন করে।ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে আটকৃতরা হলেন— নড়াইলের কালিয়া থানার বুইঁবাগ এলাকার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মো. জসর আলী (৫০), একই জেলার কালিয়া থানার কালিয়া মির্জাপুর এলাকার শিমুলের ছেলে রুবেল শেখ,
একই এলাকার মৃত লুতফর রহমানের ছেলে আবদুল্লাহ, একই এলাকার শিমুল মোল্লার মেয়ে হাসিনা বেগম।
এছাড়াও খুলনার দিঘলিয়া থানার মোল্লা ডাঙ্গা এলাকার মৃত মানিক মোল্লার ছেলে মরফু মোল্লা এবং তার স্ত্রী মারুফা বেগমসহ তার ছেলে আব্দুর রহিম মোল্লা, এনায়েত মোল্লা, রহমতুল্লা, আবদুর রহমান, সুমাইয়া এবং আবদুল্লাহ (৮)।
ধোবাউড়ার মুন্সিপাড়া বিপিও এ নায়েব সুবেদার খাইরুল ইসলাম তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আমরা রাতে তাদের আটক করি। এখন উপজেলা প্রশাসনের কাছে নেওয়া হচ্ছে, তারা যে নির্দেশনা দিবে সেভাবে কাজ করবো।হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান হারুণ জানান, আমরা এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলছি। তারা প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় নাগরিক কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
(ঢাকা টাইমস/০৩জুন/এসএ)

মন্তব্য করুন