ঘাটাইলে বৃদ্ধাকে হত্যা করে স্বর্ণালংকার লুট

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় হনুফা বেগম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যার পর স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২০ জুন) রাতে উপজেলার মানাজী শিকদার বাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হনুফা বেগমের স্বামী অনেক আগে মারা গেছে। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বড় ছেলে হরমুজ আলী সিঙ্গাপুর থাকেন ও ছোট ছেলে হুমায়ূন সিকদার ঘাটাইল বাসায় থেকে ব্যবসা করেন। সেই সুবাদে তার মা বাড়িতে একাই থাকতেন। প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাতে তিনি নিজ ঘরে একাই ঘুমিয়ে পড়েন। শনিবার (২১ জুন) সকাল ৯টার দিকে ওই এলাকার মুনসুর আলী ও তার স্ত্রী সুমি বৃদ্ধ মহিলার বাড়িতে আসে ঘর ভাড়া নেওয়ার জন্য। পরে কাউকে না দেখে ডাকাডাকি করলে নিহতের জা এসে বৃদ্ধ মহিলার ঘরের দরজা খোলা ও মহিলাকে বিছানায় মৃত অবস্থায় পরে থাকতে দেখে তার ছেলে হুমায়ূনকে ফোন করে বিষয়টি জানালে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী এসে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের ছেলে হুমায়ূন সিকদার জানান, মা হাতে দুটি স্বর্ণের বালা, গলায় চেইন, কানে দুল ব্যবহার করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই স্বর্ণালংকার লুট করার জন্যই তার মাকে হত্যা করা হয়। নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লাশের গলায় ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহের সাথে বৃদ্ধার ব্যবহৃত কোনো স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়নি। দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। স্বর্ণালংকারের লোভেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে বিষয়টি একটি হত্যাকাণ্ড প্রতিয়মান হচ্ছে। রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
(ঢাকা টাইমস/২১জুন/এসএ)

মন্তব্য করুন