ধর্ষণের অভিযোগে সেনা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

সহকর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুজ্জামান আশার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ সাবেরা সুলতানা খানমের আদালতে ভুক্তভোগী নারী মামলার আবেদন করেন।
মামলার আবেদনে অপর দুই আসামি হলেন– আশরাফুজ্জামান আশার স্ত্রী ফারহানা আশরাফ সুমি ও বোন নাসিমা পারভীন পলি।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর স্বামী কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে জেলে যাওয়ার পর তিনি ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বসবাস করতে থাকেন। এ সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুজ্জামান আশা দায়িত্বে থাকাকালীন তাকে আশ্বস্ত করেন যে, তিনি নিরাপদে থাকতে পারবেন। কিন্তু গত ৭ জুন রাত আনুমানিক ৮টায় আশরাফুজ্জামান তার বাসায় গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মেয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন।
১০ জুন অভিযুক্ত আশরাফুজ্জামান ভুক্তভোগীকে কৌশলে কাজী অফিসে নিয়ে গিয়ে তার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করেন এবং পরদিন ১১ জুন ভয়ভীতি দেখিয়ে দশ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে তাকে বিয়ে করেন। এর কিছুদিন পর ভুক্তভোগী শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লে প্রেগন্যান্সি কিট ব্যবহার করে জানতে পারেন তিনি গর্ভবতী এবং বিষয়টি আশরাফুজ্জামানকে জানান।
পরে ৬ জুলাই আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তাকে গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করে এবং শারীরিক নির্যাতন চালায়। এরপর একাধিকবার আশরাফুজ্জামান ও তার সহযোগীরা ভুক্তভোগীকে বাসা ছাড়তে হুমকি দেয় এবং প্রাণনাশের ভয় দেখায়। গত ২৪ জুলাই সিএমএইচে ডাক্তার ভুক্তভোগীর ৬ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করেন। কিন্তু শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কারণে পরদিন ২৫ জুলাই তার গর্ভপাত ঘটে।
পরে ১০ আগস্ট আসামি আশরাফুজ্জামান ভুক্তভোগীর বাসায় গিয়ে তাকে ও তার মেয়েকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন এবং বাসা ছাড়তে হুমকি দেন। পরবর্তীতে ১৭ আগস্ট ভুক্তভোগী ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতে যেতে বলেন।
(ঢাকাটাইমস/১৮ আগস্ট/এসএস)

মন্তব্য করুন