সকালে কখন হাঁটলে শরীরের ওজন দ্রুত ঝরবে, বলে দিলেন চিকিৎসক

সুস্বাস্থ্যের জন্য উৎকৃষ্ট ব্যায়াম হলো হাঁটা। চিকিৎসকদের মতে, কয়েক পা হাঁটার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্থতার চাবিকাঠি। যান্ত্রিক জীবনে অলসভাবে সবার সময় কাটে। এতে করে শরীরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে। আবার অনেকে শরীরচর্চা করার সময় পান না। ওজন কমানো কিংবা চনমনে থাকা—প্রতিদিন কিছুটা সময়ের জন্য হাঁটা জরুরি। হাঁটলেই শরীর থাকবে সুস্থ। ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
সকালে হাঁটার অভ্যাস নিঃসন্দেহে ফলদায়ক। কিন্তু সকালে হাঁটারও নির্দিষ্ট সময় আছে। ইচ্ছেমতো সময়ে সকালে হাঁটতে গেলে আদৌ উপকার পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। অফিস যাওয়ার তাড়া থাকলে অনেকেই একটু ভোরের দিকে হাঁটতে চলে যান। আবার ছুটির দিনে একটু বেলা করে হাঁটতে বেরোন। হোক না সময়ের এদিক-ওদিক, হাঁটা তো হচ্ছে! এটা ভেবেই নিশ্চিন্ত থাকলে চলবে না। কারণ বিভিন্ন গবেষণা জানাচ্ছে, ঘড়ির কাঁটা মেনে হাঁটলে বাড়তি সুফল পাওয়া যাবে।
চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, সকাল ৬টা থেকে ৮টা হলো হাঁটতে যাওয়ার সঠিক সময়। এই সময় পর্বে হাঁটলে মিলবে সুফল। কিন্তু এই সময়টাই হাঁটার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী? চিকিত্সকের কথায়, ‘কারণ সকাল ৬-৮টার মধ্যে রোদের তীব্রতা কম থাকে। কম রোদে হাঁটলে শারীরিক ক্লান্তি কম হয়। রোদে বেশিক্ষণ হাঁটাও যায় না। বিশেষ করে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস আছে, রোদে হাঁটা তাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।’
অনেকেরই মনে হতে পারে, গ্রীষ্মের রোদ সব সময়ই ভীষণ তীব্র। এই বিষয়টি একেবারে ফেলে দিতে নারাজ চিকিত্সক। তাঁর কথায়, ‘গরমকালের রোদের তীব্রতা বেশি থাকে। কিন্তু গরমকাল হলেও সকালের দিকে রোদ খানিকটা নরম থাকে। তা ছাড়া সকালের রোদ থেকে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তাই এই সময় হাঁটতে গেলে ভালো হবে। বেশিক্ষণ স্বস্তিতে হাঁটাও যাবে।’
সকালে নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস চর্বি কমাতে সাহায্য করে। চিকিৎসকরা রোগা হওয়ার পর্বে হাঁটার পরামর্শ করে দেন। রীতিমতো ঘাম ঝরিয়ে দ্রুত পায়ে একই গতিতে হাঁটা, ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই হাঁটার সময়ে গতি কমালে চলবে না। তবে প্রতিদিন সকালে যদি কিছুটা সময় হাঁটাচলা করা যায়, তা হলে শরীর এমনিতে অনেক হালকা থাকবে।
সকালে হাঁটার সময়ে পরার জন্য জুতো খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পায়ে আরাম দেয়, এমন জুতো পরে হাঁটুন। হাত বা পিঠে খুব বেশি ভার বইবেন না তখন। এতে ক্লান্ত হবেন তাড়াতাড়ি।
সকালে হাঁটাহাঁটি করার সময়ে শরীর থেকে ঘাম ঝরে। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করলে বেশি করে পানি পান করুন। শরীরে পানির ঘাটতি হলেই বিপদ। ডিহাইড্রেশনের সময়ে হাঁটলে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। পেশিতে টান ধরবে। ফলে হাঁটার প্রক্রিয়া ব্যহত হবে।
(ঢাকাটাইমস/৬ এপ্রিল/আরজেড)

মন্তব্য করুন