মৌচাক মোড়ে চরম ভোগান্তি
উড়াল সড়ক নির্মাণকাজ অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার পর নিচের ভাঙাচোরা সড়কও মেরামত হচ্ছে রাজধানীর মগবাজার-মৌচার ফ্লাইওভার এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দময় সড়ক ঠিকঠাক করায় দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অনেকটাই অবসান হয়েছে। তবে মৌচাক মোড়ের একটি ছোট্ট অংশে এই মেরামতের কোনো ছোঁয়া লাগেনি।
বড় বড় গর্তে ইট বা পাথরের টুকরো ফেলে কিছুটা ভোগান্তি কমানোর চেষ্টা হলেও সেটা দুর্ভোগ না কমিয়ে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ এসব টুকরোর ওপর দিয়ে যানবাহন চালানো আরও কঠিন। স্থানীয়রা বলছেন, উড়াল সড়কের নিচের বড় অংশ মেরামত করে ছোট্ট একটি অংশ ফেলে রাখার কী মানে সেটা তারা বুঝতে পারছেন না।
শুক্রবার বিকালে গিয়ে দেখা যায় এই শুকনো মৌসুমেও মৌচাক মোড়ের সড়কে জমে আছে পানি। দেখে মনে হয় কিছুক্ষণ আগে বুঝি বৃষ্টি হয়েছে। এই পানির নিচে গর্ত কতদূর গভীর- এই আশঙ্কায় গাড়ি নিয়ে যেতেও ভয় পাচ্ছেন চালকরা। ফলে ছুটির দিনও যানজট লেগে আছে মৌচাক থেকে মালিবাগ মোড় এবং মালিবাগ রেলগেটের দিকে।
রাজধানীর বাংলামোটর থেকে মৌচাক মোড় পর্যন্ত উড়াল সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন মৌচাক মোড় থেকে মালিবাগ রেলগেট এবং রাজারবাগ অংশের কাজ চলছে। দীর্ঘদিন ধরে নিচের সড়কের পুরোটাই ভাঙাচোরা থাকলেও বেশির ভাগ অংশই মেরামত হয়ে গেছে। ফলে পিচঢালা রাজপথে স্বাভাবিক গতিতে নির্বিঘ্নেই চলছে গাড়ি। কিন্তু সব প্রশান্তিই থেমে যাচ্ছে মৌচাক মোড়ে গিয়ে।
শ্রমিকরা জানান, প্রথম দিকে পাথর ও বালু ফেলে রোলার দিয়ে রাস্তা সমান করা হয়েছে। এখন ওয়ারলেস মোড় থেকে মৌচাক মোড় পর্যন্ত শুধু পিচ ঢালাইয়ের কাজ বাকি। পিচ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হলেই এই রাস্তার গাড়ি চলাচলে আর কোনো বাধা থাকবে না। তবে মৌচাক মোড়ের ভাঙা অংশ তারা ইট ও পাথরের টুকরো দিয়ে মেরামতের চেষ্টা করছেন।
মৌচাক মোড় হয়ে চলাচলকারী বাসচালক হৃদয় রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ’মৌচাক মোড়ের ভাঙা রাস্তায় গাড়ি ধইরা রাখাই কঠিন।’
তবে এই একটি মোড় ছাড়া এই পথের অন্য অংশে চলাচলের ভোগান্তির অবসান হওয়ায় খুশি হৃদয়। তিনি বলেন, ‘আগে জ্যাম না থাকলেও ভাঙা রাস্তায় মৌচাক থেইকা মগবাজার যাইতে অনেক সময় লাগতো। অহন দুই-তিন মিনিটেই যাইতে পারি।’
মগবাজার ওয়ারলেস মোড়ের পথচারী মিজান খন্দকার বলেন, ‘এতোদিন রাস্তা ভাঙা থাকায় বৃষ্টি হলেই কাদা পানিতে হাঁটাচলায় কষ্ট হত এবং শুষ্ক মৌসুমে প্রচুর ধুলো বালু থাকত। সড়কটি মেরামত করায় এই ভোগান্তি আর নেই। তবে মৌচাক মোড় পার হতে অনেক কষ্ট হয়।’ তিনি আশা করেন, এই মোড়টিও দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেবে সিটি করেপোরেশন।
মাহফুজুল ইসলাম নামের এক বাসযাত্রী বলেন, ‘আগে ভাঙা রাস্তার ঝাকুনির ভয়ে মৌচাক থেকে মগবাজার পর্যন্ত রাস্তা হেটে যেতাম। কিন্তু রাস্তা সুন্দর হওয়াতে এখন গাড়িতে করেই যাই।’ এই রাস্তা মতো মৌচাক মোড় দ্রুত সংস্কার করার ব্যাবস্থা হবে বলে তিনি আশা করেন।
(ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বর/ডব্লিউবি)