দলিল লেখক সমিতির নামে ফি আদায়, তদন্তের নির্দেশ

ঝিনাইদহের শৈলকুপা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখক সমিতির নামে গলাকাটা ফি আদায়ের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, জনৈক আমিন মন্ডল শৈলকুপা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে নিবন্ধনহীন দলিল লেখক সমিতির নামে অবৈধ কর্মকান্ডের বিবরণ দিয়ে একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঝিনাইদহকে তদন্ত করে আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির মো. সোহেল রানা জানান, আদালতের আদেশের কপি ইতিমধ্যে ঝিনাইদহ পিবিআই অফিসে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে আদালতের এই নির্দেশ জারির পর সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল মালেক শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস পরিদর্শনে গেছেন।

এলাকার সাধারণ মানুষের ভাষ্য মতে, শৈলকুপার বিজুলিয়া গ্রামের নান্নু মোল্লা সভাপতি, লক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান সাধারণ সম্পাদক ও রয়ড়া গ্রামের মিজানুর রহমান ক্যাশিয়ার সেজে দলিল লেখক সমিতির নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। তাদের সাথে শৈলকুপার শিতালী গ্রামের আক্তারুজ্জামান ওরফে মনির খাঁ, বাগুটিয়া গ্রামের আহম্মেদ ও তোফাজ্জেল সহায়তা করেন। এরা সমিতির নামে জমি ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফির বেশি টাকা হাতিয়ে নেন।

অভিযোগ রয়েছে, শৈলকুপা পৌরসভা এলাকায় প্রতি লাখে জমি রেজিস্ট্রির সরকারি ফি ১১ হাজার টাকা। কিন্তু সমিতির নামে আদায় করা হয় ১৪ হাজার টাকা। পৌরসভার বাইরে ১০ হাজার টাকা, আদায় করা হয় ১৩ হাজার টাকা। মুষ্টিমেয় কয়েকজন লোক অবৈধ সমিতি গঠন করে এই টাকা ভাগাভাগি করে নেন বলে অভিযোগ।

এ বিষয়ে দলিল লেখক আব্দুল মান্নান বলেন, ইতিপর্বে আদালত থেকে আদেশ দেয়ার পর আমরা আর সমিতি চালায় না। সমিতি এখন বন্ধ রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষরা এই মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

দলিল লেখক আক্তারুজ্জামান ওরফে মনির খা অভিযোগ খন্ডন করে বলেন, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থেকে একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমাদের বিরুদ্ধে অপবাদে লিপ্ত।

(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)