রোভারদের মিলনমেলায়

সৈয়দ ঋয়াদ, রোভার পল্লী গাজীপুর থেকে
 | প্রকাশিত : ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৬:০৮

‘শতবর্ষে রোভারিং সুনাগরিক প্রতিদিন’ স্লোগান নিয়ে গাজীপুরের বাহাদুরপুরে শুরু হয়েছে ছয় দিনব্যাপী ‘অষ্টাদশ আঞ্চলিক রোভার মুট-২০১৭’। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দলের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে হতে যাচ্ছে অষ্টাদশ আঞ্চলিক রোভার মুট।

২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলার রোভার দলগুলো আসতে শুরু করেছে। রোভারদের এই আঞ্চলিক মহাযজ্ঞে এবার ৭৬০টি কলেজের আট হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। যার মধ্যে থাকছে ১৭০টিরও বেশি ‘গার্ল ইন রোভার’ দল। এবারই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ‘গার্ল ইন রোভার’ অংশগ্রহণ করছে। ছয় দিনব্যাপী রোভার মুট চলবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর।

ভিলেজ ও সাব ক্যাম্প: পুরো ক্যাম্প অঞ্চলকে ম্যাফেকিং, গিলওয়েল, ব্রাউন্সি ও প্যাক্স টু এই চারটি ভিলেজ ভাগ করা হয়েছে। চারটি ভিলেজকে মাহবুবুল আলম, আসাদুজ্জামান, কে এম আজাদউজ্জামান, মীর মুজবুল হক, আব্দুল হক পাটওয়ারী, আমিনূর রহমান খান, মো. শাহাজাহান সাজু ও প্রফেসর এটিএম শামসুর রহমান শেলু এই আটটি সাব-ক্যাম্পে ভাগ করা হয়েছে।

ছয় দিনের চৌদ্দ চ্যালেঞ্জ: ১. সুপ্রভাত ২. তাঁবুকলা ৩. হাইকিং ইয়ুথ ভয়েস ৪. ক্যাম্প ফায়ার ৫. খেলাধুলা ৭. মেধা যাচাই ৮. তথ্য প্রযুক্তি ৯. বাঁধা ১০. স্বাস্থ্য ও সমাজসেবা ১১. জিডিভি ১২. ক্যারিয়ার প্ল্যানিং ১৩. কৃষ্টি ও সংস্কৃতি ১৪. আগমন ও ফেরা রোভার দলগুলোকে ছয়দিনে মোট এই ১৪টি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। এই চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যদিয়ে শীর্ষ দলগুলোকে পুরস্কৃত করা হবে।

২৭ ডিসেম্বর উদ্বোধনী দিন থেকে প্রতিদিন সাব-ক্যাম্পভিত্তিক সুপ্রভাত চ্যালেঞ্জ চলতে থাকবে। প্রতিদিনের পিটি প্যারেট ও শারীরিক কসরতের এই চ্যালেঞ্জ চলবে। থাকবে এর উপর নম্বরও। তাই সুপ্রভাত প্রতিটি রোভার দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে জানালেন মুট কর্মকর্তারা। তাঁবুকলার চ্যালেঞ্জটি রয়েছে দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে। এই চ্যলেঞ্জটি একটি ছোট সংসারের মতো। কে কীভাবে নিজেদের তাঁবু সাজিয়েছে। সেগুলো সার্বিক পরিচ্ছন্নতা, কোথায় কোন গেঁরো ব্যবহার কার হয়েছে তার সবই দেখা হবে এই চ্যালেঞ্জে।

ইয়ুথ ভয়েস চ্যালেঞ্জ রোভারদের মধ্য দিয়ে যুক্তিতর্ক ও উপস্থিত বক্তৃতার মতো ইভেন্টে নেতৃত্ব দেয়া গুণগুলো যাচাই-বাছাই করা হয়ে থাকে।

ভোকাল: প্রতিনিধিত্ব করার ক্ষমতা ও কথা বলার দক্ষতা হিসেবেও এটিকে বিবেচনা করা হবে। ইয়ুথ ভয়েস হলো পাঁচ নাম্বার চ্যালেঞ্জ।

ক্যাম্প ফায়ার (তাঁবু জলসা): এর মাধ্যমে সারাদিনের কাজের ক্লান্তি দূর করা হয় নানারকম আনন্দযজ্ঞ। প্রতিদিনের খেলাধুলা থাকলে চ্যালেঞ্জ নম্বর ছয় হিসেবে। বিভিন্ন ধরনের খেলায় প্রতিটি ইফনিট বা দল থেকে প্রতিযোগীরা নিজেরদের প্রমাণ করার সুযোগ পাবে। মূলত প্রতিটি ইভেন্টেই তারা প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারবে।

মেধা যাচাই, তথ্য প্রযুক্তি, বাঁধা, স্বাস্থ্য ও সমাজসেবা, জিডিভি ও ক্যারিয়ার প্ল্যানিং এই প্রতিটি চ্যালেঞ্জেই রোভার স্কাউট ও গার্ল ইন রোভারদের পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে প্রতিটি চ্যালেঞ্জেই যারা ভাল করবে, তারাই হবে এ বছরের সেরা দলগুলোর অন্তর্ভুক্ত।

কৃষ্টি ও সংস্কৃতি এই চ্যালেঞ্জটি কোনো দলের একক পারফমেন্স নয়। এটি জেলাভিত্তিক চ্যালেঞ্জ। একটি জেলার সবগুলো দলের সমন্বয়ে নিজের জেলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করতে হবে। নিজের জেলার ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে ভালভাবে উপস্থাপন করতে পারবে এমন দশটি জেলাকে শ্রেষ্ঠ জেলা হিসেবে সম্মান জানানো হবে।

শেষ দিন ক্যাম্প ফায়ারের মধ্যদিয়ে শেষ হবে রোভার মুটের আনুষ্ঠানিকতা। আর রাত বারোটায় শতবর্ষে রোভারিং উদযাপনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে অষ্টাদশ আঞ্চলিক রাভার মুট ২০১৭।

(ঢাকাটাইমস/২৬ডিসেম্বর/এসআর/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :