চিকিৎসায় কর্মবিরতি বন্ধে রিটের আদেশ বৃহস্পতিবার
সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মবিরতি ডাকা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিটের ওপর শুনানি কাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
একই সঙ্গে মামলার আবেদন সংশোধন করে আগামীকাল এ বিষয়ে শুনানি করতে আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বশির আহমেদ। শুনানির শুরুতে তিনি আদালতে তার মামলার পিটিশন দাখিল করেন।
এরপর আদালত তাকে (বশির) উদ্দেশ করে বলেন, ১৯৮২ সালের মেডিকেল প্রাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড লেবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিনেন্স রয়েছে। সে অনুযায়ী সারা দেশের ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। তাহলে রিট আবেদন কেন করা হলো জানতে চান আদালত।
জবাবে রিটকারী আইনজীবী বশির শুনানি করতে চান জানালে আদালত বলেন, ‘আপনি যে আবেদন (মামলা) নিয়ে এসেছেন তা নিয়ে তাড়াহুড়ো করা ঠিক হবে না। এর সঙ্গে মানুষের জীবন-মরণের প্রশ্ন জড়িত। এ বিষয়ে আগামীকাল শুনানির জন্য রাখি।’
এরপর বশিরকে পিটিশন সংশোধন করে নিয়ে আসতে বলে আগামীকাল শুনানি নিয়ে আদেশ দেওয়া হবে জানান।
এর আগে আজ সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী বশির আহমেদ। রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়।
রিটে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মবিরতি ডাকা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়।
পাশাপাশি রিটে সব জেলা সদরের হাসপাতালে কমপক্ষে ৩০ শয্যাবিশিষ্ট আইসিইউ অথবা সিসিইউ ইউনিট বসানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটকারী আইনজীবী বশির আহমেদ বলেন, চিকিৎসাসেবা একটি মহান পেশা। এর সঙ্গে মানুষের জীবন-মৃত্যুর সম্পর্কও জড়িত। এ পেশায় যারা কাজ করেন তারা কিছু হলেই কর্মবিরতির ডাক দেন। সাধারণ মানুষকে এভাবে জিম্মি করে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া বেআইনি। এ কারণে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালত আদেশ দিবেন।
(ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/এমএবি/মোআ)