ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর সরকারি কলেজে এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় তিন লাখ ৫৫ হাজার ৭০০ টাকার বাণিজ্য হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যবহারিক পরীক্ষার খরচের টাকা কলেজ ফান্ড থেকে দেয়া হলেও নিয়মবহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এই বিপুল অংকের টাকা নেয়া হয়েছে। ফলে এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৩ এপ্রিল সারাদেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। মির্জাপুর সরকারি কলেজে অধ্যয়নরত তিন বিভাগের ১৭৬৭ জন শিক্ষার্থী এবং উপজেলার আরও নয়টি কলেজের প্রায় ১২৫০ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। মির্জাপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্র ১ এবং ভারতেশ্বরী হোমস কেন্দ্র ২ তে মির্জাপুর সরকারি কলেজসহ উপজেলার ১০টি কলেজের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে মির্জাপুর সরকারি কলেজ থেকে ৩০২ জন এবং বাকি কলেজগুলোর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২৬৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। বাকি শিক্ষার্থী মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের বলে কলেজ সূত্র জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা দুটি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিলেও ব্যবহারিক পরীক্ষা মির্জাপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি বাবদ বিজ্ঞান বিভাগের রসায়ন, গণিত, জীব বিজ্ঞান ও পদার্থ বিষয়ের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪০০ টাকা, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ১২০০ শিক্ষার্থীর প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০ টাকা, কৃষি বিষয়ে ১৩১৩ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০ টাকা ও গার্হস্থ্য বিষয়ের ৫০ জনের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে তিন লাখ ৫৫ হাজার ৭০০ টাকা আদায় করা হয়। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মির্জাপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খাদিজা ইয়াছমিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, মির্জাপুর কলেজ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য টাকা নেওয়ার নিয়ম চালু রয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা না নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকরা বিগত দিনের অজুহাত দিয়ে বিভিন্ন খরচ দেখিয়ে এ টাকা তুলেছেন।
মির্জাপুর সরকারি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সরকার প্রতিনিধি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মালেকের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ব্যবহারিক পরীক্ষার খরচের টাকা কলেজ ফান্ড থেকে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া নিয়মবহির্ভূতভাবে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
(ঢাকাটাইমস/২৮মে/জেবি)