ছোটবেলার কষ্ট ভুলতে পারি না, তাই অসহায়ের পাশে থাকি

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ জুন ২০১৯, ১৯:১৫

সমাজসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে ইতোমধ্যে বগুড়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছেন আব্দুল মান্নান আকন্দ। চলতি রমজানের শুরুতে তিনি সুবিধাবঞ্চিত স্কুলশিক্ষার্থীদের মাঝে প্রায় ৮০ লাখ টাকার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। বগুড়ার ৭০টি স্কুলে প্রায় ১৫ হাজার খাবারের প্যাকেট তিনি তুলে দেন অসহায় শিশুদের হাতে। এই প্যাকেটে চাল, খেজুর, চিনি, সেমাই, ছোলাবুট, সয়াবিন তেল ছিল।

এই ঈদে অসহায় গরিব পরিবারের মানুষরাও যাতে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারে সেজন্য আব্দুল মান্নান এখন ঈদ উপহার বিতরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নতুন পোশাকের পাশাপাশি ঈদের দিনে যাতে ভালো খাবার খেতে পারে সেজন্য তিনি সার্বিক ব্যবস্থা করছেন।

এই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার বগুড়ার পল্লীমঙ্গল হাই স্কুল মাঠে শাখারিয়া ইউনিয়নের ২০০০ মানুষের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে নতুন শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করা হয়। আজকের এই আয়োজনে আব্দুল মান্নান আকন্দের সঙ্গে অর্থায়ন করেন মো. কামরুল হুদা উজ্জ্বল।

এ ছাড়া গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন আব্দুল মান্নান আকন্দ। চলতি বছরে শুরুতে তিনি বগুড়ার ১২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে তিন ধরনের ৩৬ হাজার খাতা বিতরণ করেন। স্কুলে গিয়ে নিজ হাতে তিনি এসব শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করছেন। অন্যান্য স্কুলের পাশাপাশি বগুড়ার সরকারি শিশু পরিবারের শিক্ষার্থীদের পাশেও দাঁড়ান। সাম্প্রতি সেখানে তিনি খাতার পাশাপাশি ২০টি পড়ার টেবিল এবং ৪০টি চেয়ার বিতরণ করেন। এসব শিক্ষা উপকরণ হাতে পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা।

পেশায় ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান আকন্দ ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।

রমজান এবং ঈদ উপহার বিতরণ প্রসঙ্গে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমি এবং আমার পরিবার একসময় সব ধরনের কষ্ট পেয়েছি। খাবারের কষ্ট, পোশাকের কষ্টসহ সব ধরনের কষ্ট একসময় অনুভব করেছি। ছোটবেলার সেই কষ্টের কথাগুলো এখনো ভুলতে পারিনি আমি। এখন আল্লাহ আমাকে সামর্থ্য দিয়েছে, আমি সেখান থেকে অসহায় মানুষগুলোর কিছুটা কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করি। আমি আমার এলাকার লোকজনের সাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করি। বিভিন্ন ঈদ উৎসব, বৈশাখী উৎসবে আমি তাদের পাশে থাকি।’

শুধু তাই নয়, সংখ্যালঘু পরিবারের একটা পাড়া আছে, সেখানেও তিনি পূজা-পার্বনে সহযোগিতা করেন বলে জানান। এমনকি কোরবানি ঈদের আগের দিনে খাসি বা ভেড়া কিনে তাদের দেন।

কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রেও অর্থ দিয়ে সহায়তা করেন আব্দুল মান্নান। এবার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য শতাধিক গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে যাবতীয় অর্থ দিয়েছেন তিনি।

নিজের আদর্শ সম্পর্কে এই সমাজসেবক বলেন, ‘আমি ধর্মপ্রিয় মানুষ। আমি ধর্মকে বিশ্বাস করি। আমি স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বিশ্বাস করি। শেখ হাসিনার আদর্শকে বিশ্বাস করি। আমি আমার বোধ থেকেই মানুষের সেবা করি। যত দিন বেঁচে থাকব মানুষের সেবা করে যেতে চাই। আল্লাহ আমাকে সম্পদ দিয়েছেন, আমি সেখান থেকেই অসহায়দের জন্য দিয়ে থাকি।’

ঢাকাটাইমস/১জুন/এই/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :