মাঠে ২১ জনের বিরুদ্ধে খেলতে হতো: শোয়েব

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:৪০

পাকিস্তানের ক্রিকেটে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ নতুন নয়। এই অভিযোগে শাস্তিও পেয়েছেন অনেকে। এই প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন পাক পেসার শোয়েব আখতার। ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ সাফ জানিয়ে দিলেন, তাঁর সময়ে কতটা গভীর ছিল এই সমস্যা। শুধু বিপক্ষ নয়, সতীর্থদের বিরুদ্ধেও খেলতে হয়েছিল তাঁকে, অভিযোগ শোয়েবের।

একটি টকশোতে শোয়েব বলেছেন, ‘পাকিস্তানকে কখনও প্রতারণা করব না, ম্যাচ গড়াপেটা করব না, এই বিশ্বাস সবসময় আমার ছিল। কিন্তু আমার চারপাশে ঘিরে থাকত ম্যাচ ফিক্সাররা। আমাকে ২১ জনের বিরুদ্ধে খেলতে হত। ওদের ১১ জন আর আমাদের ১০ জনের বিরুদ্ধে নামতে হত। কে ম্যাচ ফিক্সার, তা বোঝা যেত না। তখন খুব ম্যাচ ফিক্সিং হতো। মোহাম্মদ আসিফ তো একবার আমাকে বলেই ফেলেছিল যে, কোন ম্যাচগুলোয় ওরা গড়াপেটা করেছে আর তা কীভাবে করেছে।’

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন পাকিস্তানের দুই পেসার মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফ। ওপেনার সালমান বাটও সেই সময় স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়ে নির্বাসিত হন পাঁচ বছরের জন্য। আমির-আসিফের ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িয়ে পড়ার ঘটনা জেনে রেগে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন শোয়েব।

বিষণ্ণ সুরে তিনি বলেছেন, ‘চেষ্টা করেছিলাম আমির ও আসিফকে বোঝানোর। প্রতিভার কী অপচয়। যখন এটা শুনেছিলাম, এত হতাশ হয়ে পড়েছিলাম যে, দেওয়ালে ঘুষি মেরে বসেছিলাম। পাকিস্তানের দুই সেরা বোলার, যাঁরা কিনা স্মার্ট, বুদ্ধিমান এবং আদর্শ দুই পেসার, তাঁরা এ ভাবে নিজেদের নষ্ট করল। সামান্য অর্থের জন্য নিজেদের বিক্রি করল ওরা।’

মোহাম্মদ আমির নির্বাসন কাটিয়ে জাতীয় দলে ফিরলেও আসিফ ও বাট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করতে পারেননি। কয়েক মাস আগের বিশ্বকাপ ক্রিকেটেও খেলেছেন আমির। তবে বিশ্বকাপের পর জুলাইয়ে মাত্র ২৭ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নেন বাঁ-হাতি পেসার। সাদা বলের ক্রিকেটে ফোকাস দিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান আমির। এই সিদ্ধান্তে চমকে যায় ক্রিকেটমহল।

(ঢাকাটাইমস/২ নভেম্বর/এসইউএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :